জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিলে মানবসম্পদের উন্নতি হবে। একইসঙ্গে দেশের উন্নয়ন হবে। আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমি অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখেছি ব্যস্থতার মাঝেও তারা অনেক বই পড়তেন। মনের দরজা জানালা খুলতে বই পড়তে হবে।
গতকাল শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচির বই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বইকে ভালোবাসতে শিখুন। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা প্রচুর বই পড়ুক। তাদের মনের সুস্থ বিকাশ গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির মাধ্যমেও দেশ বিদেশের নামি-দামি ব্যক্তির বই পড়ছে। শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সমাজ সচেতন। বই পড়ার মাধ্যমে তারা তারা যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল হবে।
দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বই পড়তে ভালোবাসতেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের জ্ঞানকে কাজ লাগাক। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এতে চাঁদপুরের ২৫ লাখ শিক্ষার্থী উপকারভোগী হবে। তাদের মনের জানালা খুলবে। আগের দিন নেই। হেলাফেলা করে হলেও শিক্ষার্থীদের শিখতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, যেসব শিক্ষক যৌ* হয়রানি করে, তারা সমাজের বিকৃত মানুষ। কেউ অপরাধ করলে কোনো শিক্ষক তার পক্ষ নেবেন না। আপনাদের মধ্যে কেউ বিকৃত মনের মানুষ হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। যৌন হয়রানির শিকার একটি শিক্ষার্থীকে সারা জীবন দায় বয়ে নিতে হবে। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের উপ-পরিচালক উজ্জ্বল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, স্ট্রেনদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের সহকারী পরিচালক সাদেক আহমেদ খান, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো-টিম লিডার এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুনসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।