জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় ফল কাঁঠাল পাকাতে আর প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছেন না মনিরামপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরা। এক রকম কিলিয়েই পাকানো হচ্ছে এই জাতীয় ফলটি। বৃহত্তর এ উপজেলার কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে বেশি দাম পাওয়ার আশায় এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করে কাঁঠাল পাকাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ মতে, কচি কাঁঠাল আগে আগে পাকাতে প্রয়োগ করা হচ্ছে রাইপেন ও ইথিফন নামের রাসায়নিক পদার্থ। এসব রাসায়নিক দ্রব্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে কীটনাশকের দোকানে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার প্রায় ২৫টি হাটবাজারে প্রচুর কাঁঠাল উঠেছে। এর মধ্যে মনিরামপুর সদর হাটবাজার, রাজগঞ্জ হাটবাজার, ঝাঁপা হাটবাজার, রোহিতা হাটবাজার, নেহালপুর হাটবাজার, কালিবাড়ি হাটবাজার, খেদাপাড়া হাটবাজার, হরিহরনগর হাটবাজার, চালুয়াহাটি ইউনিয়নের নেংগুড়াহাট হাটবাজার ও শয়লা হাটবাজার, মশ্মিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা ও কাঁঠালতলা হাটবাজার, শ্যামকুড় হাটবাজার, মনোহরপুর হাটবাজার, দূর্বাডাঙ্গা হাটবাজার, খানপুর হাটবাজার, জয়পুর হাটবাজার, কাশিমনগর হাটবাজার ও চালকিডাঙ্গার হাটবাজার থেকে প্রতিদিন অর্ধশত ট্রাকে কাঁঠাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।
কাঁঠাল ব্যবসায়ী ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনউদ্দিন জানান, গ্রামে গ্রামে তাদের গাছ কেনা থাকে। সেই গাছে কচি ও বতি কাঁঠাল যা থাকে তা একবারেই কেটে নিয়ে আসতে হয়। তা না হলে আবার চুরি হয়ে যায়। এ কারণে কচি কাঁঠালগুলো নষ্ট হওয়ার আগেই তাতে ওষুধ প্রয়োগ করে পাকাতে হয়। এ ছাড়া এক ট্রাক কাঁঠাল ঢাকায় নিয়ে যেতে তাদের পথেঘাটে ব্যাপক খরচ হয়। পরিবহন খরচসহ সকল প্রকারের খরচ ওঠাতেই কচি কাঁঠাল ওষুধ দিয়ে পাকিয়ে দ্রুত বাজারে বিক্রি করতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা, তন্ময় বিশ্বাস বলেন, যে কোনো ফলে বিষপ্রয়োগের পর ওই ফল খেলে লিভার, কিডনি, পেটের নানা সমস্যাসহ মরণব্যাধি ক্যানসার হতে পারে। ফলে বিষ দেওয়া কোনো ফল মানুষকে না খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।