স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়াল লিগের (বিপিএল) নবম আসর চলছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এবারের আসরে ডিআরএস পুরোপুরি না থাকায় আয়োজকরা ব্যবহার করছেন এডিআরএস।
অল্টারনেটিভ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা এডিআরএসের সীমাবদ্ধতা সবারই জানা। খেলা মাঠে গড়ানোর পর থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মিরপুরে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন রংপুর রাইডার্স।
এদিন সিকান্দার রাজার বলে এনামুল হককে এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় রংপুর। থাকলেও কয়েক দফা রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার দেন আউট।
এডিআরএস যদিও বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নেই। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দিতে হলে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে টিভি আম্পায়ারকে কিন্তু এখানে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার উপায় ছিল না কোনোভাবেই। সিদ্ধান্ত বদলে যেতে দেখে ব্যাটসম্যান এনামুলকে দেখা যায় ক্ষিপ্ত হয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে।
খেলা শেষে এ ব্যাপারে রংপুর অধিনায়ক সোহান বলেন, আমার মনে হয় আম্পায়াররাও (এডিআরএসের কারণে) অনেক বেশি চাপে পড়ে যাচ্ছেন। পূর্ণাঙ্গভাবে (ডিআরএস) থাকলে হয়তো তাদের জন্যও সুবিধা হয়। এই চাপের ক্ষেত্রে আসলে… সবাই তো মানুষ। মাঠের ভেতরে এক-দুইটা ভুল হতেই পারে। এইটা আসলে আরেকটু ভালো হলে সবার জন্য ভালো হতো। আমার কাছে মনে হয়, এডিআরএস না থাকলেই ভালো।
এদিন মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয়ে ফিরে বরিশাল। খেলা শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে মিরাজ বলেন, ডিআরএস থাকলে সবাই আরও স্বচ্ছ ধারণাটা পেত। যেহেতু ডিআরএস নেই, সেহেতু অবশ্যই এখানে অনেকে সুবিধা পেতে পারে। ব্যাটিং দলও পেতে পারে, বোলিং দলও পেতে পারে। দিন শেষে মানুষ বলতেই ভুল! ভুল হতেই পারে। একটা জিনিস হলো ভুলের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে খারাপ দেখায়।
বিজয়ের আউট নিয়ে মিরাজ বলেন, বিজয় ভাইয়ের আউট যেটা হয়েছে, এক্ষেত্রে যদি ডিআরএস থাকত তাহলে খুবই স্বচ্ছ হতো। এরকম দুই-একটা ঘটনা হতে পারে। তবে দিন শেষে আমি মনে করি, পেশাদারিত্ব দেখিয়ে অনেক কিছু অনেক সময় মেনে নিতে হয়।
একজন লেজেন্ডারি ফুটবলার হয়ে ভক্তদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবেন গ্যারেথ বেল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।