আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে দুই দমকলকর্মী নিহত হয়েছেন এবং আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির বিভিন্ন স্থানে একযোগে ২০টির বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি আগুন সবচেয়ে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মক বলেছেন, দাবানল দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে, বিশেষ করে সূর্যাস্তের আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশে গত শুক্রবার শুরু হওয়া দাবানলে ২৭৫ হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে এবং দুই শতাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার উলসান শহরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছে।
কোরীয় স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানায়, উলসান শহর, উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশ এবং দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়।
এদিকে, দমকল বাহিনী জানিয়েছে, দাবানলের কারণে সানচিয়ং কাউন্টির আটটি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন এবং তারা অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
শক্তিশালী বাতাসের কারণে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত দাবানলের মাত্র ৩৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, যদিও সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এটি ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রিত ছিল।
ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধার কার্যক্রম সানচিয়ং কাউন্টির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দমকলকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, দুইজন এখনও নিখোঁজ এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশের উইসিয়ং এলাকায় শনিবার নতুন করে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, যা এরই মধ্যে ৩০০ হেক্টর বনাঞ্চল গ্রাস করেছে। এর কারণে প্রায় ৫০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত মাত্র চার শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া, উলসানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত উলজু কাউন্টির দাবানলের কারণে ৮০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।