বিশ্বের সবথেকে দামী আম, কিনতে গেলে লজ্জা পাবে মুকেশ আম্বানিও
জুমবাংলা ডেস্ক : গ্ৰীষ্মকালে আম (Mango) খাবে না এমনটা তো হতে পারেন। কারণ গ্ৰীষ্মকাল (Summer Season) হল আমের মরসুম। এই সময় হিমসাগর, ল্যাংড়া ও গোপালভোগ আম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। তবে বাংলাদেশেই শুধু নয়, সারা বিশ্বে এই দেশের আম বিক্রি করা হয়। আর সারা বিশ্ববাসীই এই ফল খেতে খুব পছন্দ করেন।
তবে আম শুধু মাত্র একটি সুস্বাদু ফল নয়, এটির অনেক খাদ্য গুণ রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে আমে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ, এমাইনো এসিড, পটাসিয়াম,কপার, বিটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন জিলাইক এসিড, আলফা ক্যারোটিন, পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল ও ক্যফিক এসিড পাওয়া যায় আমে।
তবে খাদ্যগুণ ও দামের বিচারে ভারতীয় আমকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে এক ধরনের জাপানী আম। এমনকি জাপানের এই বিখ্যাত ফলটি সাধারণ আমের থেকে দেখতেও অনেকটা আলাদা। কারণ এই আমের রং হয় লাল ও বেগুনী। আকারেও সাধারণ আমের চেয়ে অনেকটা বড়, ঠিক যেন ডাইনোসরের ডিমের মতো দেখতে।
এই আমের নাম হল মিয়াজাকি আম। প্রথমে শুধু মাত্র, জাপানের বিখ্যাত শহর মিয়াজাকিতে এই আম পাওয়া যেত সেই জন্যই এই আমের নাম মিয়াজাকি দেওয়া হয়েছিল। এই আমের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ‘তাইয়ো নো টোমাগো’ (Taiyo-no-tomago), এছাড়াও এই আমটি ‘এগ অফ সানসাইন’ (Egg of Sunshine) নামেও পরিচিত।
কিন্তু এই আমটি সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল এই আমের মূল্য। কারণ দামের বিচারে সবচেয়ে মূল্যবান আম হল এটি। শুধু মাত্র একটি পিস আমের দাম প্রায় ২১ হাজার টাকা। তবে কেজি দরে নেন তাহলে আরও বেশি দাম দিতে হবে। এক কেজি মিয়াজাকি আমের দাম প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকাও হতে পারে।
কিন্তু এই আম কিন্তু খাদ্যগুণের দিক থেকেও সাধারণ আমের থেকে এগিয়ে। কারণ এই আমে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। যে জন্য এই আম খাওয়া ক্যানসারের রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়াও এই ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারে এই আম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।