জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর এক বাসা বাড়ি থেকে রাতে মাত্র ৬ মিনিটেই দেয়াল টপকিয়ে একটি ৭ লাখ টাকা দামের ইন্দোনেশিয়ান ১৫০ সিসি ইয়ামাহা আর১৫ এম ভার্সন আকাশি রঙের মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে।
গত শুক্রবার রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ছমদ আলী মিয়াজী বাড়ির উঠান থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। পরে কোন খবরাখবর না পাওয়ায় গত ৭ জুলাই শিকলবাহা এলাকার মো. সেলিমুল হকের ছেলে ভুক্তভোগী মো. ওবায়দুল হক মমিন (২২) অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। মমিন নগরীর প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৪র্থ বর্ষের ছাত্র বলে জানা যায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন।
বাইক হারানোর অভিযোগটি পূর্বে থানার অন্য অফিসার তদন্ত করেও কোন কুল কিনারা না পাওয়ায় পরে মামলা দায়ের হলে মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় শিকলবাহা ফাঁড়ি আইসি এসআই মো. মোবারক হোসেনকে। কেননা, অতীতে গাড়ি ও মাদক উদ্ধারে তিনি সিএমপির শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার (এসআই) নির্বাচিত হন।
ওদিকে, বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এক মিনিটেই একজন যুবক কোমরে যন্ত্রপাতি নিয়ে দেয়াল টপকিয়ে বাসায় প্রবেশ করেন। দুই মিনিট চারদিকে অবজারভেশন করেন। ৫ মিনিট পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে চলে যান। ৬ মিনিটেই উধাও! যুবকের গায়ে ছিলো সবুজ রঙের স্পোর্টস টি-শার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার কালো প্যান্ট। মুখে ছিলো কাপড়ের মাস্ক সদৃশ অন্য কিছু।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ান ১৫০ সিসি ইয়ামাহা আর১৫ এম ভার্সন মোটরসাইকেলটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিলো চট্টমেট্টো ল ১৯১০২৫, ইঞ্জিন নম্বর ছিলো জি৩এস৭ই ০০৩২৮০৭, চেসিস নম্বর এমএইচ৩আরজি ৭৮১০এনকে ০০৩২১১। মোটর সাইকেলটির মুল্য ছিলো ৭ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে মোটরসাইকেলের মালিক ভুক্তভোগী মো. ওবায়দুল হক মমিন (২২) বলেন, ‘এক বছর আগে আমি বাইকটি কিনেছিলাম নগরীর বাদুরতলার আর স্টেশন শোরুম থেকে। মোটর সাইকেলটির খুুঁটিনাটি কাজ করতাম হালিশহরের একটি দোকানে। আর কর্ণফুলীতে কাজ করতাম ওভারব্রিজের নিচে ইউনুস মার্কেটের পাশে একটি মোটর সাইকেলের গ্যারেজে।’
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ ও চোরের মোটিভ দেখে কর্ণফুলীর একাধিক বাইকার মন্তব্য করেছেন, ‘চোরটি কোন না কোন মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করে। বিশেষ করে দক্ষিণ জেলায়। আর মমিনের গাড়িতে জিপিআরএস নেই এটা শুধু গ্যারেজের লোকজন জানেন। আর কেউ জানে না। সুতরাং বাইকটি সে যেখানেই কাজ করাতেন। ওখানের কোন যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিকলবাহা ফাঁড়ির আইসি এসআই মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মোটর সাইকেলটি উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। ইতিমধ্যে সড়কের অনেকগুলো সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে। এখনো কাজ তদন্ত চলমান।’ একই কথা জানালেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেনও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।