বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সফল স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানের কথা বললে আমাদের সবার মনে স্যামসাং, অ্যাপল, ওয়ান-প্লাস, এমনকি গুগলের নাম আসে। এগুলোর পাশাপাশি পেছনে পড়ে যাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান আবারও প্রতিযোগিতায় উঠে আসছে। ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার পরিমাণও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বেশ কিছু দিন পর আবারও আলোচনায় উঠে আসা স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানটির নাম Motorola। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ তিনটি স্মার্টফোন কোম্পানির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত এক বছর অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর এই অবস্থানে উঠে এসেছে Motorola। শুধু কিছু উদ্ভাবনী ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মাধ্যমেই এমনটি ঘটেনি। পেছনে রয়েছে আরও কিছু কারণ।
Motorola সফলতা গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ-৩-এর মাধ্যমে আসেনি। এমনকি টেকসই হিসেবে সুপরিচিত ফেয়ারফোন-৪ ফোনের মাধ্যমেও এই সফলতা অর্জিত হয়নি। অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্পমূল্যের প্রত্যাশা পূরণকারী ডিভাইসের মাধ্যমেই বর্তমান অবস্থানে এসেছে Motorola।
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড মটোরোলা এর পুনরুত্থানের কৌশল সম্পর্কে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির উত্তর আমেরিকান বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ডগ মিচাউ। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় উঠে আসতে ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছিল Motorola। এর মাধ্যমেই গর্ত থেকে বিস্ময়করভাবে চূড়ায় উঠে আসা সম্ভব হয়েছে। ব্যবহারকারীদের সীমার মধ্যে রেখে স্মার্টফোন বাজারে আনায় মিলেছে ব্যাপক সাড়া।
সম্প্রতি মটো-জি পাওয়ার নামের একটি মডেলের স্মার্টফোন আনার ঘোষণা দিয়েছে Motorola। ২০২২ সালে এটি নতুন মডেলে বাজারে আসবে। যদিও মডেলটি ২০২০ সালে বাজারে এসেছে। সেটা আবারও বাজারে আসছে নতুন করে। বাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা ডিভাইসটির দাম ধরা হয়েছে ২০০ ডলার। এই দামে বড় স্ক্রিন এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বেশ পছন্দের।
গত ২ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে মটোরোলা। এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো, স্মার্টফোন বাজারের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ে ও জেডটিইকে জাতীয় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। তারপরও সেখানে এই দুটি ব্র্যান্ডের ফোন কেনার সুযোগ রয়েছে। তবে খ্যাতি কমে আসায় ব্যবহারকারীরা হুয়াওয়ে ও জেডটিই ফোন কেনা থেকে বিরত থাকছেন।
এছাড়া এইচটিসিসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অন্যান্য ডিভাইসের বাজারের প্রতি মনোনিবেশ করেছে। ফলে Motorola তাদের ব্যবহারবান্ধব নীতির মাধ্যমে সহজে জায়গা দখল করে নিয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহকৃত স্মার্টফোনের মধ্যে Motorola এর স্মার্টফোন ১২ শতাংশ। ২০২০ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে যা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে কমে গেছে অনেকের আয়। এ অবস্থায় ব্যবহারকারীরা ব্যয়বহুল এবং ইউনিক স্মার্টফোন কেনা থেকে সরে আসছেন বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। ফলে নাগালের মধ্যে থাকা দামের কারণে Motorola এর ফোনের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসির) গবেষণায়ও মিলেছে এমন পূর্বাভাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।