লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থান হচ্ছে মুখ। সারা দিন রকমারি খাবার, টক-ঝাল কিংবা মিষ্টি— এসবের সঙ্গে আবার তামাক-অ্যালকোহল জাতীয় খাবার, সবই যাচ্ছে এই মুখের মাধ্যমে। মুখের ভেতরে অনেকেরই আবার দাঁতের কামড় লেগে থাকে। আসলে মুখের ভেতরে হাই ফ্লাক্স এরিয়া রয়েছে, এখানে কোষগুলো দ্রুত মারা যায় এবং নতুন কোষ জন্মায়।
তাই মুখের ভেতরে অস্বস্তি ও ক্ষত হওয়া স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই দেখা হয়। তবে জিহ্বার নিচে বা গালে ঘা হলে খাওয়াদাওয়া করতে বা কথা বলতে খুবই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এ রকম সমস্যাই হলো মুখের আলসার। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যা, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-এর ঘাটতির কারণে মুখের ভেতরে আলসার হয়।
যা প্রবল ভোগায় আমাদের। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে কয়েক দিনের জন্য ঝাল, টকজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন। যতটা সম্ভব হবে মরিচ, আদা-রসুন ছাড়াই খাবার খেতে হবে। আর যদি এমন না করেন, তবে মুখে জ্বালা অনুভূত হয়ে কষ্ট বাড়বে।
সমস্যা এড়াতে মুখ সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে অন্তত তিনবার দাঁত মাজার অভ্যাস করুন। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। এ ছাড়া রয়েছে কিছু ঘরোয়া টোটকাও। তাহলে চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক—
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ভালো থাকে। মুখে আলসার কমাতেও এটি একটি কার্যকর টোটকা।
শুধু রূপচর্চায় নয়, নারকেল তেল বহু গুণসমৃদ্ধ। মুখের যে জায়গায় আলসার হয়েছে, সেখানে বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগালে আরাম পাবেন।
মুখের যে অংশে আলসার হয়েছে, সেখানে কয়েক ফোঁটা মধু লাগাতে পারেন। মধুতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান যেকোনো সংক্রমণ দূর করতে সক্ষম।
কেনা অ্যালোভেরা জেল নয়, অ্যালোভেরা গাছের শাঁস টাটকা বের করে মুখে ঘায়ের স্থানে নিয়ম করে টানা কিছুদিন ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরার অ্যান্টিইমফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
এলাচ গুঁড়া ও মিছরি গুঁড়া করে ঘা-এর স্থানে লাগিয়ে নিন। এর ঠাণ্ডা ভাবে অনেকটাই আরাম পাবেন। বেকিং সোডাও এই ঘা সারাতে খুবই উপকারী। এটি পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে, ফলে ঘায়ের জ্বালা ভাব কমে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।