জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় বিএনপির দুই নেতার বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুখোমুখি অবস্থানে দ্বিধায় নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির এই দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ্ বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। আর বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহের বিরুদ্ধে সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রোভাইড করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলেছেন।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাবরাশুর ইউনিয়নের কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ্’র কর্মী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ্ এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে। নিরীহ লোকজন ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। বিএনপি এমন কর্মকাণ্ড কখনই মেনে নিবে না। দলের কো-চেয়ারম্যান তারেক রহমান এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সেলিমুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপির উপদেষ্টা মণ্ডলী ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অনেক ব্যবসায়ীরা রয়েছেন এমনকি অনেক বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছে তারা তাকে পছন্দ করে না। তাদের সবাইকে হয়রানি করছেন। এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দল তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আরও বলেন, যত সময় যাবে সরকারের জন্য ততই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আশা করি সরকার আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিবে। দল আমাকে গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের এ ঘাঁটি থেকে বিএনপি জয়লাভ করবে।
এবিষয়ে মোবাইল ফোন এ প্রতিবেদককে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ্ এলাকার সংস্পর্শে ছিলেন না। সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রোভাইড করার চেষ্টা করছেন। আজকের সভায় আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাভোগী লোকদের প্রোভাইড করেছেন। যাদের দ্বারা আমরা বিগত দিনে নির্যাতিত হয়েছি।। উনি আমার বিরুদ্ধে কেন এমন কথা বললেন আমরা বোধগম্য নয়। আমি দলের সঙ্গে কথা বলবো। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে তিনি দলের হাইকমান্ডে অভিযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি না করেন নি। কেউ বলতে পারবে না আমি চাঁদাবাজি করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ্ যে কথা বলেছে তা সত্য নয়। যারা অপরাধী পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে, সেখান আমি কোনো হস্তক্ষেপ করি না। এমনকি কাউকে ছাড়ানো তদবির করি না। আমার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেনামে একটা অভিযোগ করেছে। বেনামে অভিযোগ গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই।
অভিনয়ে এসেই বাবার দেওয়া বদলে ফেলেছিলেন রচনা, ফাঁস হলো গোপন তথ্য
কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। স্থানীয় বিএনপি নেতা দুলাল চন্দ্র মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় বিএনপির আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর অহিদুল হক মোল্যা, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস এম সুমন, সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক ভিপি সৈয়দ কামরুজ্জামান টুটুল, বক্তব্য রাখেন। এ সভায় মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীর চব্বিশটি ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।