স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কাকে পেলেই জ্বলে ওঠেন মুশফিক। ২০১৩ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষেই নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসটা খেলেছিলেন মুশফিক। আর চলমান সিরিজে তো প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও শতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি লিটনকে সঙ্গে নিয়ে গড়লেন এক রেকর্ড।

২০১৩ সালে যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন মুশফিক তখন আশরাফুলকে নিয়ে ২৬৭ রানের রেকর্ড জুটি করেছিলেন তারা।
৯ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙল আবার। তবে এবার মুশফিকের সঙ্গী লিটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ঢাকা টেস্টে প্রথম দিনে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান মুশফিক ও লিটন।
কিন্তু সম্ভাবনা জাগিয়েও সঙ্গীর অভাবে আরও একটি ডাবল সেঞ্চুরি করা হলো না মুশফিকুর রহিমের। একপ্রান্তে অপরাজিতই থেকে গেছেন ১৭৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলে। যা তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সঙ্গীর অভাবে যেমন ডাবল সেঞ্চুরি পাননি, তেমনি দুইটি রেকর্ডও গড়া হয়নি মুশফিকের।
মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর লিটন দাসের সঙ্গে ২৭২ রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড এটি। এছাড়া মাত্র ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পড়ার পর এত বড় জুটি আর দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব।
লিটন-মুশফিকের এই জুটির ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৮৪ মিনিট, দুজন মিলে উইকেটে খেলেছেন ৫১৩টি বল। আর মাত্র ৬ বল খেললেই বাংলাদেশের পক্ষে এক জুটিতে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ডের অংশীদার হতে পারতেন মুশফিক। কিন্তু লিটন আউট হয়ে যাওয়ায় ৫১৩ বলেই থেমে যায় জুটি।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১৮ বল খেলে ২৬৭ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। আজ আর ছয় বল খেললেই লিটনকে নিয়ে এ রেকর্ড নতুন করে লেখা হতো মুশফিকের। এছাড়া গত বছর একই দলের বিপক্ষে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ২৪২ রানের জুটি হয়েছিল ৫১৪ বল খেলে।
লিটন ফেরার পরও লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। শেষ পর্যন্ত বাকি সব ব্যাটার ফিরে গেলেও তিনি ৩৫৫ বল খেলে ২১ চারের মারে করেছেন ১৭৫ রান।
দুই দিন মিলিয়ে মুশফিক উইকেটে ছিলেন মোট ৫২৬ মিনিট। আর ঘণ্টাখানেক খেলতে পারলেই বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসে সর্বোচ্চ সময় খেলার নতুন রেকর্ড হতো তার।
২০১৮ সালে মিরপুরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ২১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। সেদিন বলের হিসেবেও সর্বোচ্চ ৪২১ বল খেলেছিলেন মুশফিক। সেই ইনিংস খেলার পথে ৫৮৯ মিনিট উইকেটে ছিলেন দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটার। এটিই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড।
এছাড়া ৫০০’র বেশি মিনিট খেলার নজির আছে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটারের। ২০০০ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ৩৮০ বল মোকাবিলায় ১৪৫ রান করেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সেদিন তিনি উইকেটে ছিলেন ৫৩৫ মিনিট। এছাড়া গতবছর পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৪ রান করার পথে নাজমুল শান্ত খেলেছিলেন ৫৩৩ মিনিট।
দুটি রেকর্ড হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবেই দুইবার ৫০০’র বেশি মিনিট খেলার নজির গড়েছেন মুশফিক। এছাড়া চতুর্থবারের মতো ইনিংসে ৩০০’র বেশি বল খেলেছেন তিনি। জাভেদ ওমর বেলিম (২) ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার দুইবারও ইনিংসে ৩০০ বল খেলতে পারেননি।
https://inews.zoombangla.com/the-first-time-in-the-history-of-cricket/
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



