জুমবাংলা ডেস্ক : বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নতুন চাকরিবিধি হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর খসড়া করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয় বলছে, চাকরিবিধি হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা উপকৃত হবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সর্বশেষ জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারি কর্মচারীদের মতো একটি বিধিমালা তৈরির প্রস্তাব দেন ঝিনাইদহের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। এরপর বিধিমালা তৈরির কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
খসড়া বিধিমালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা শিরোনামে ১০টি বিধি রয়েছে। এর একটিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন না, এর সাহায্যে চাঁদা দেয়া বা অন্য কোনো উপায়ে এর সহায়তা করবেন না এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে নিজেকে জড়িত করবেন না।’
আরেক বিধিতে আছে, কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য কোনো অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো বেসরকারি ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে পারবেন না। খসড়ায় অনুমোদন ছাড়া প্রাইভেট টিউশন নিষিদ্ধের কথাও বলা হয়েছে।
খসড়া চাকরিবিধিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক নিজ নামে প্রকাশিত কোনো লেখায় অথবা জনসমক্ষে দেয়া বক্তব্যে অথবা পত্রিকায় এমন কোনো বিবৃতি বা মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না, যা সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলতে পারে। একই সঙ্গে সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে, এমন বিতর্কিত ধর্মীয় বিষয়ে অংশগ্রহণ না করতেও বলা হয়েছে।
এছাড়া, অদক্ষতা, পেশাগত অসদাচরণ, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধে তিরস্কার, ইনক্রিমেন্ট স্থগিত, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তি হতে পারে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা আছে।
খসড়ায় কারো বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে হবে। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করবে। কমিটিতে জেলা সদরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তার প্রতিনিধি, উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা তার প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধি এবং একজন শিক্ষককে রাখতে হবে।
আর শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলা হলে কর্তৃপক্ষ একান্ত প্রয়োজন মনে করলে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। সাময়িক বরখাস্তকালীন বেতনের অর্ধেক খোরপোশ পাবেন। এ ছাড়া কোনো অভিযোগ আদালতের রায়ে মিথ্যা প্রমাণিত হলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিকে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।
যদিও শিক্ষকনেতাদের অনেকে এই খসড়াকে অযৌক্তিক বলছেন। তাদের দাবি, রাজনীতি করার অধিকার সব জায়গায় আছে। ইউনেসকো ও আইএলও সনদেও এটি বলা আছে। কিন্তু নতুনভাবে শিক্ষকদের জন্য সরকার রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করতে চাইছে যা সাংঘর্ষিক।
৬৫০ জন নারীর সঙ্গে বিছানায় শুয়েছিলেন বিপিএল মাতানো এই ক্রিকেটার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. রবিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি এখনো আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি কর্মশালা হওয়ার কথা রয়েছে। কর্মশালা থেকে আসা প্রয়োজনীয় সুপারিশ খসড়া বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এরপর চূড়ান্ত করে বিধিমালাটি জারি করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।