আবদুল গাফফার : শিশুটা আলোর মুখ দেখে একটু আগেভাগেই। এত কম সময়ে সাধারণত ভূমিষ্ট হয় না শিশু। কিন্তু কপালের ফেরে বেশ কয়েকমাস আগেই জন্ম হলো শিশুটির। পৃথিবীর প্রথম আলো চোখে পড়লেই চিৎকার দিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় শিশুরা।
কিন্তু এই শিশু নট-নড়ন চড়ন। কান্না দূরে থাক, বুকে প্রাণের স্পন্দনই নেই। আকারে খুব ছোট আর লিকলিকে। ধাত্রীর মুখ কালো হয়ে গেছে, লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প গাঁয়ের ধনী গৃহবধূটি কিনা মৃত শিশুর জন্ম দিলেন! বেচারির এখন কী হবে! গর্ভধারণের কয়েক মাসের মধ্যে স্বামীকে হারিয়েছেন, গর্ভের শিশুটিও ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে! আফসোস করতে করতে ধাত্রী গৃহবধুটিকে শুশ্রুশায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
তার আগে মৃত শিশুটাকে রেখে এসেছেন একটা ছোট্ট পাত্রের মধ্যে।
ধাত্রী যখন মায়ের সেবা-যত্নে যখন গভীর মনোযোগী তখন সেই পাত্র ভেতর থেকে বিকট চিৎকার। ভড়কে গেলেন ধাত্রী। যাকে তিনি মৃত ভেবে ফেলে এসেছেন সেই শিশুই কিনা চিৎকার দিয়ে কাঁদছে! দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে তুলে নিলেন।
তারপর চলল শুশ্রুসা। শিশুটি তখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও তাঁর মেয়াদ কদ্দিন হবে কে জানে?
কিন্তু সেই নিউটন পরে চুরাশি বছর বেঁচে ছিলেন, আর বিজ্ঞানের জন্য কী করেছিলেন, তা সবার জানা।
সূত্র: The Life of Isaac Newton
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।