জুমবাংলা ডেস্ক : ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদি বিপদচিহ্ন থাকে তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ডেঙ্গুর বিপদচিহ্ন উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, পেটে ব্যথা, অত্যাধিক পানির তৃষ্ণা, ঘনঘন বমি বা বমি বন্ধ না হওয়া, রক্তবমি ও কালো পায়খানা হওয়া। অনেক রোগীর দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়, কারও কারও ছয় ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হলে তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়া প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও অত্যধিক শারীরিক দুর্বলতা অনুভব, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে গেলে হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়া গর্ভবতী ও শিশু, ডায়াবেটিস ও দুরারোগ্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিপদচিহ্ন ছাড়া বাকিরা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেসব ডেঙ্গু রোগী মুখে পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে পারেন, প্রতি ৬ ঘণ্টায় প্রস্রাব হয় এমন রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে বাড়িতে থাকলেও তাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাদের পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত লবণযুক্ত তরল যেমন-স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি পান করতে হবে। ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ডেঙ্গুতে প্যারাসিটামল জাতীয় ছাড়া অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। পূর্ণবয়স্কদের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০ মিলিগ্রামের ৬টি ট্যাবলেট এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। জ্বর কমাতে কুসুম গরম পানিতে শরীর মুছেতে হবে। এতে ভালো প্রতিকার পাওয়া যায়।
রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। তবে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে রোগী সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাসা বাড়িতে জমানো পানি ৩ দিনের বেশি রাখা যাবে না। দিনে-রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ছোট-বড় সবাই সর্বোচ্চ শরীর ডেকে রাখে এমন কাপড় পরতে হবে। জ্বর থাকলে ডেঙ্গু পরীক্ষা এনএস-১ করাতে হবে। চিকিৎসা গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।