স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির চোখে ওটা আউট ছিল। কীভাবে তা আউট না তা বুঝতে পারছেন না। ধারাভাষ্যকার মাদুশকা বালাসুরিয়া শ্রীলঙ্কান বলে এ ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত মানতে ইচ্ছা নাও হতে পারে, কিন্তু নিরপেক্ষ দর্শকরাও বুঝতে পারছিলেন না সৌম্য সরকার কীভাবে নটআউট।
বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ঘটনা। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ৩ ওভারেই ২৮ রান বাংলাদেশের। লিটন দাস ও সৌম্য সরকার দুজনই ৯ বলে ১৪ রান তুলে নিয়েছেন। বিনুরা ফার্নান্দোর ওভারের প্রথম বল পুল করতে গিয়ে মিস করলেন সৌম্য।
শ্রীলঙ্কানদের জোরালো আবেদনে সারা দিয়ে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার গাজী সোহেল।
রিভিউ নিলেন সৌম্য। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখে নিজেই ডাগআউটের দিকে হাঁটা শুরু করলেন। রিপ্লেতে পরিষ্কার স্পাইক দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু টিভি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান তাঁকে থামানোর ব্যবস্থা করলেন। স্পাইক দেখা গেলেও আম্পায়ার মুকুলের মনে হচ্ছিল যখন তা দেখা যাচ্ছে, তখন ব্যাট ও বলের মধ্যে ফাঁক ছিল।
এবং যেহেতু ব্যাট ও বলের মধ্যে ফাঁক আছে, তাই শব্দটা অন্য কোথাও থেকে আসছে বলে মনে হয়েছে মুকুলের। তাই আউটের সিদ্ধান্ত বদলে দেন টিভি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের তো কিছু করার নেই, সিদ্ধান্ত বদলেছেন তৃতীয় আম্পায়ার।
এসব ক্ষেত্রে অবশ্য মাঠের সিদ্ধান্তই টিকে থাকার উদাহরণ বেশি। কারণ, ক্রিকেটে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই মূল। তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাতে হলে টিভি আম্পায়ারকে একদম নিশ্চিত হতে হয় যে, সুনির্দিষ্টভাবেই মাঠের সিদ্ধান্ত ভুল। কিন্তু স্নিকোমিটারের এই ফ্রেমের পার্থক্য, যা অতটা ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে না, তা দিয়ে মাঠের সিদ্ধান্ত একদম বদলে ফেলাটা কঠিন।
এভাবে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য। পরের ১৩ বলে মাত্র ১২ রান করে সেই পুল শট খেলতে গিয়েই আউট হয়েছেন। ততক্ষণে দল অবশ্য আরও ৪০ রান পেয়ে গেছে উদ্বোধনী জুটিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।