আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জলাশয়ে নৌকা নিয়ে বের হলে চারদিক থেকে লাফিয়ে উঠে শত শত মাছ। এমনকি, গায়ের ওপরও উঠে যায় মাছ। এমন ব্যতিক্রমী দৃশ্যের দেখা মেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ‘ইলিনয়’স রিভার চ্যানেলে’।
তবে, বিপুল পরিমাণ মাছ স্থানীয়দের কাছে উপদ্রবের মতোই। তাই, রীতিমতো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ধরা হয় এসব মাছ। নাম ‘রেডনেক ফিশিং টুর্নামেন্ট’। মাছ ধরতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য মৎস্য শিকারী। প্রায় দুই দশক ধরে বাথ নামের ছোট্ট গ্রামে হয় সেই প্রতিযোগিতা।
মাছ শিকারে আসা একজন বলেন, দশ বছর ধরে এখানে আসি। ভালো সময় কাটে। মাছ ধরার মজার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এটা অনেকটা প্রতিযোগিতার মতো। মাছ পপকর্নের মতো এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। নিজেদের জালে সেগুলোকে ভরতে ব্যস্ত থাকে সবাই।
আরেকজনের ভাষ্য, মাছ ধরা আমার শখ। আর এখানে এভাবে মাছ ধরতে ভীষণ আনন্দ হয়। মাছ নিজে থেকেই লাফিয়ে জালে পড়ে।
১৭ বছর আগে মাছ ধরার এই অদ্ভূত প্রতিযোগিতার সূচনা। এই জলাশয়ে আকস্মিকভাবে কার্প জাতীয় মাছ বিপুল পরিমাণে বংশবিস্তার শুরু করে। এতে কমতে থাকে অন্য প্রজাতির মাছের সংখ্যা। এশিয়ান কার্প কমিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যেই ফিশিং কম্পিটিশন। সময়ের সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পরে দেশের বাইরেও।
ফিশিং টুর্নামেন্টের প্রতিষ্ঠাতা বিটি ডিফোর্ড বলেন, এই মাছগুলো থেকে রেহাই পেতেই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলাম। এতে অংশ নিতে মানুষের আগ্রহ আসলেই অবাক করার মত। নিউজিল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য থেকেও মানুষ এখানে আসে।
কার্প জাতীয় মাছ খাওয়ায় তেমন অভ্যস্ত নন আমেরিকানরা। তাই মাছগুলো থেকে তৈরি হয় সার কিংবা পশু খাদ্য। আর টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া অর্থ খরচ করা হয় ইলিনয়ের বাস্তুচ্যুত মানুষের সহায়তায়।
সূত্র: রয়টার্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।