ইলিশ মাছ আমাদের সংস্কৃতি, উৎসব আর রসনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্ষার দিনে ইলিশ ভাজা আর খিচুড়ির কোনও তুলনা নেই। তবে ইলিশ শুধু স্বাদের জন্যই নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ইলিশ খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়।
যেসব পুষ্টিগুণ মেলে ইলিশে
১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে গড়ে পাওয়া যায়-
ক্যালরি: প্রায় ৩০০–৩২০
প্রোটিন: ১৮–২০ গ্রাম
ফ্যাট: ২৫–২৮ গ্রাম
ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ, ডি, ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন
উপকারিতাগুলো জেনে নিন।
ইলিশে থাকা ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো করে।
ওমেগা–৩ স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী। শিশু ও বয়স্ক উভয়ের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ইলিশ কার্যকর।
ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে এবং দাঁতের গঠন ভালো রাখে।
ইলিশে থাকা ভিটামিন এ এবং ই শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং রাতকানা প্রতিরোধে কার্যকর।
সঠিক পরিমাণে ইলিশ খেলে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশে সহায়ক হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়াই উত্তম।
সতর্কতা
ইলিশে ফ্যাটের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। তাই যারা উচ্চ কোলেস্টেরল বা ফ্যাটজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। এছাড়া ছোট কাঁটার কারণে শিশুদের খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে।
তথ্যসূত্র: জার্নাল অব ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউট্রিশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।