ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি যখন এটির কথা জানতে পারেন ততক্ষণে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। একটি গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, সারা বিশ্বের প্রতি ৫০ জনের মধ্যে একজন জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এই ডিসঅর্ডারের মধ্যে দিয়ে যান।
নারী বা পুরুষ যে কারো এটি হতে পারে। মানসিক অস্থিরতা, উদ্বেগ ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে এ ডিসঅর্ডারের যাত্রা শুরু হয়। কোন চিন্তা বা ইচ্ছা আপনার মনের মধ্যে বারবার ঘুরপাক খেতে থাকলে তাকে অবসেশন বলা হয়ে থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি ক্ষতিকর।
অন্যদিকে কম্পালসন হল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না থাকা এ ধরনের ইচ্ছা বা চিন্তাকে দূর করার জন্য যেসব কাজে ব্যক্তি করে থাকে। এই ডিসঅর্ডারে যারা আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে দুটোই একসঙ্গে ঘটতে পারে। অবসেশন হাল্কা মাত্রায় থাকা অসুবিধার নয়।
তবে এটি যদি সব ধরনের মাত্র ছাড়িয়ে যায় তাহলে তা অবশ্যই ক্ষতি করবে। সামাজিক এবং ডেইলি লাইফে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ব্যক্তিকে। নিউরোকেমিক্যাল তারতম্য ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে তবে সুনির্দিষ্ট হিসেবে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
যেসব নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের পরবর্তী সময় এ ধরনের ডিসঅর্ডার হয়ে থাকে। সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়ে অনেক ক্ষেত্রে মায়ের এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মস্তিষ্কের গোলযোগ থেকে এটি হতে পারে। এটি আপনাকে অযৌক্তিক চিন্তার গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলে দিবে। এই ডিসঅর্ডার থেকে উদ্ভূত আচরণের কারণে আপনার পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগত জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
আপনি এডিস ওয়াটারের ঝুঁকিতে আছেন কিনা তা বোঝার কিছু উপায় রয়েছে। যেমন নিজের ঘর বারবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কিনা তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। অযৌক্তিক চিন্তা ভাবনা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। বিষন্নতম হতাশা থেকে বের হতে পারেন না একদমই।
ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত হয়েছে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি কিন্তু এর পরিসংখ্যান রাখা হয় না বিধায় অফিসিয়াল কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এই ডিসঅর্ডারে যারা আক্রান্ত তাদের মনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভয়ে কাজ করে।
যেমন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়, রক্ত দেখার ভয়, উঁচু স্থানের ভয়, একাকিত্বের ভয় ইত্যাদি। সবথেকে খারাপ দিক হলো এটিকে রোগ হিসেবে সমাজের মানুষ মানতে চায় না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অনেকে তারা ওষুধ খেলে ডিসঅর্ডার আস্তে আস্তে কাটিয়ে ওটা সম্ভব হয়।
যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম এবং ব্যায়াম চর্চা করতে হবে। অ্যালকোহল এবং মিষ্টি খাবার পরিহার করাই উত্তম। অনেক সময় মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।