আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নজিরবিহীনভাবে বাড়ছে মহাসাগরের তাপমাত্রা। ‘হট টাব’র মতো ফুটছে সাগরের তলদেশ। বুধবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান এ তাপমাত্রা বিশ্বের মহাসাগরগুলোকে প্রভাবিত করার সঙ্গে সঙ্গে সামুদ্রিক শ্যাওলা, সামুদ্রিক ঘাস ও প্রবালগুলো ধ্বংস করছে। বন ধ্বংসকারী দাবানলের মতো সামুদ্রিক জীবন ও সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রকে ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের মুখে।
অসহ্যকর আবহাওয়ার চরম তীব্রতা স্থল ও জল উভয় অংশেই সংকটের সৃষ্টি করেছে। যা বিশ্বব্যাপী মানবচালিত জলবায়ু সংকটের একটি উপসর্গ।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এই মাসের শুরুতে রিপোর্ট করেছে যে বৈশ্বিক সমুদ্রের তাপমাত্রা মে মাস থেকে মাসিক রেকর্ড সবোঁচ্চে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বর্তমান তাপপ্রবাহ আগস্ট মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (নোয়া) জানায়, বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে আটলান্টিক মহাসাগরের ফ্লোরিডা প্রণালীর চারপাশে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৪৩ (১০১.১৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যেখানে তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি থেকে ৩১ ডিগ্রির মধ্যে হওয়া উচিত।
ফ্লোরিডার তাপমাত্রা মানুষের জীবিকার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। মঙ্গলবার কী লার্গোর চারপাশে মৃত মাছ দেখা যায়। নোয়া এ মাসের শুরুতে সতর্ক করে, ফ্লোরিডা আশপাশের উষ্ণ জল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ও হারিকেনকে শক্তিশালী করতে পারে।
সংস্থাটি আরও জানায়, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা প্রবাল প্রচীরকেও মারাত্মকভাবে চাপ দেয়।
ফ্লোরিডার তাপমাত্রা বিশ্বব্যাপী রেকর্ড হতে পারে ধারণা করা হলেও তা এখনো নিশ্চিত নয়। এদিকে এভাগ্লেডস মানাটি বে-এর জলের একটি বয়ের তাপমাত্রা সোমবার বিকালে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে।
অন্যান্য কাছাকাছি বয়গুলো ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ও ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে শীর্ষে ছিল। ২০১৯ সালের তুলনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোর তাপমাত্রা তিনগুণ বেড়েছে বলে জানা যায়। এবারের গরম এতটা চরম হবে বলে আশা করেনি বিশেষজ্ঞরাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।