ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাকিস্তানের ৪ থেকে ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এর মধ্যে মার্কিন তৈরি এফ-১৬ এবং চীনা তৈরি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ও স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করে ভারতীয় বাহিনী নিখুঁতভাবে হামলা চালায়, যা গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।
এয়ার চিফ মার্শালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের রাডার সিস্টেম, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, রানওয়ে, হ্যাঙ্গারসহ বহু সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, একটি এইডব্লিউঅ্যান্ডসি বিমান এবং একটি সি-১৩০ ধরনের সামরিক পরিবহন বিমানও হামলার শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান এপি সিং।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের বিপুল সংখ্যক বিমানঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত করেছি। এর ফলে চারটি স্থানে রাডার, দুটি স্থানে কমান্ড সেন্টার এবং দুটি রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি তিনটি আলাদা বিমানঘাঁটির হ্যাঙ্গারও ধ্বংস হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমও।”
এর আগে গত আগস্টে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রথমবার জানায়, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি বিমান ধ্বংস করা হয়, যার মধ্যে ছিল পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় নজরদারি বিমান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদ ও ভোলারি বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এয়ার চিফ মার্শাল জানিয়েছিলেন, ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাটি ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বড় সাফল্য। তিনি ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে রুশ তৈরি এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের আক্রমণাত্মক সক্ষমতা ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে পাকিস্তান বুঝতে পেরেছিল, সংঘাত চললে তাদের আরও বড় ক্ষতি হতো।’ বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।