বিনোদন ডেস্ক : ২০ বছর আগের অর্পিতা আর আজকের অর্পিতার মধ্যে বিস্তর ফারাক”, বাল্যবন্ধুর স্মৃতি ভাগ করে নিলেন রাকেশ সাহা। বেলঘরিয়া মহাকালি গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলেন অর্পিতা। সেই সময় তিনি উচ্চাকাঙ্খী ছিলেন না বলেই দাবি করেছেন তাঁর বন্ধু। পাশাপাশি অর্পিতা ‘উদার’ ছিলেন, দাবি তাঁর প্রতিবেশীদের।
সেই মেয়েই কি এই মেয়ে! একরাশ অবাক আর বিস্ময়ে সংবাদমাধ্যমে চোখ টিকিয়ে অর্পিতার ছোট বেলার বন্ধুরা। বাংলার টিউশনের স্মৃতিতে ডুব দিলেন তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু। SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। অর্পিতার সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়েও জোর জল্পনা। কিন্তু, পাড়ার সেই ‘সরল মানবিক’ মেয়েটাই কি আজকের এই ‘টাকার কুমির’ অর্পিতা? মেলাতে পারছেন না পাড়ার লোকেরাই।
স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন অর্পিতার বন্ধু। জানালেন, ২০০২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে তিনি। অর্পিতার সহপাঠী রাকেশ সাহা বলেন, “বেলঘরিয়া মহাকালি গার্লস স্কুলে পড়ত ও। সাগর দত্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে আমরা একসঙ্গে বাংলা পড়েছি। সেই সময় আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই ছিল অর্পিতা। কখনও মনে হয়নি ওর উচ্চাকাঙ্খা ছিল। সহপাঠীদের সঙ্গে আড্ডা দিত, হাসি ঠাট্টা করত, পড়াশোনাটাও করত মন দিয়ে। সেই অর্পিতার সঙ্গে আজকের টিভিতে দেখা অর্পিতার কোনও মিল নেই।” তিনি আরও বলেন, “ও অনেক পরে মডেলিং,অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখে। এরপর ও নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়। আর কোনও খোঁজ রাখিনি।”
“কেউ খাবার চাইলে কখনও ফেরায়নি”
অর্পিতার প্রতিবেশী অন্নপূর্ণা চৌধুরী বলেন, “অর্পিতাকে ছোট্ট বেলা থেকে দেখে আসছি। ও এই পাড়াতেই বড় হয়েছে। পাড়ার পুজোতে আসত। টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করত। খুব শান্ত ছিল। সকলকে সাহায্য করেছে। কেউ যদি বলত খেতে পাচ্ছি না, তাকে খাবারও দিত।” তবে অর্পিতার গ্ল্যামার দুনিয়ে নিয়ে তাঁরা অন্ধকারে।
অন্নপূর্ণাদেবীর কথায়, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওর সম্পর্কের কথা জানতাম না। এখনও যেটুকু জানি তা সংবাদমাধ্যম মারফত। ও নিজেই গাড়ি চালিয়ে আসত বলে শুনেছি। তবে ওর সঙ্গে কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এখানে আসতে দেখিনি। এই বিষয়ে তাঁর মা বলতে পারবেন।” এদিকে তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, তাঁর মেয়ে নিয়মিত খোঁজ নিত। তবে মেয়ের রোজগারের কোনও অর্থ তিনি নেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।