আমরা সবাই আউটকাম বায়াস সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যাই। এর মানে হচ্ছে যে, কেউ যদি কোন কাজে সফল হয় তাহলে তাকে সবদিক থেকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হয়। ধরে নেওয়া হয় যে, এ কাজে সফল হওয়ার পেছনে প্রত্যেক ধাপে সে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে এবং পরিশ্রম করেছে বিধায় সফল হয়েছে।
কেবল ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আমরা অনেক কিছু আগেভাগে ভেবে নিই। বাহির থেকে কাউকে কম সময়ে জাজ করে ফেলার বিষয়টি আউটকাম বায়াসের অন্তর্ভুক্ত। কেননা তার ভেতরের অনেক কিছু আমরা বিবেচনা করতে চাই না।
কেউ যদি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আমরা ভেবে নেই যে, সে অনেক ভালো স্টুডেন্ট এবং প্রচন্ড পরিশ্রমী। কিন্তু এটাও হওয়া সম্ভব যে, সে নকল করে পরীক্ষা দিয়েছে। পাশের স্টুডেন্টের খাতা দেখে পরীক্ষা দিয়েছে।
ঐ স্টুডেন্ট পরীক্ষার হলে অবৈধ উপায় ব্যবহার করেছে। কেউ যদি পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করে তাহলে আমরা ভেবে নেই যে, সে স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো নয় এবং পরিশ্রমী নয়। এখানে পরীক্ষায় খারাপ করার পেছনে অনেক এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর থাকতে পারে।
হতে পারে ওই স্টুডেন্ট অসুস্থ ছিল বা জ্যামে আটকে থাকার কারণে সময় মত হলে পৌঁছাতে পারেনি। আমরা অনেক সময় এভাবে কেবল রেজাল্ট দেখেই মানুষকে জাজ করে ফেলি। ভেতরের ফ্যাক্টর বিবেচনা করতে চাই না।
আমাদের উচিত হবে দৈনন্দিন জীবনে অল্প জেনে বা কেবল ফলাফল দেখে কোন কিছু জাজ না করা বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া। ভেতরের ইন্টারনাল ফ্যাক্টর সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা উচিত । এতে করে আমরা আউটকাম বায়াস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।