লাইফস্টাইল ডেস্ক : পিঠের ব্যাথা একেবারেই সহ্য করা যায় না। পিঠে ব্যথা হলে আমাদের চলাফেরা করতে এতটাই সমস্যা হয় যে কষ্টটা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অনেক কারণে পিঠের যন্ত্রণা হতে পারে। যেমন- চোট-আঘাত, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, ঠিক ভাবে না হাঁটলে বা শুলে, হাড় দুর্বল হলে, সংক্রমণ প্রভৃতি।
এখানে এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে পেইনকিলার ছাড়াই যন্ত্রণা কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে :
১. খুশি মনে হাসতে হবে। যখন পিঠে যন্ত্রণা হবে তখন মন ভরে হাসবেন। এমনটা করলে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাবে। ফলে কমতে থাকবে পিঠের ব্যথা।
২. স্ট্রেসের কারণেও পিঠের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। তাই মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ যত মানসিক চাপ বাড়বে, তত পেশি শক্ত হতে থাকবে। ফলে বাড়বে কষ্ট।
৩. যন্ত্রণা হলেই পিঠে ভাল করে মাসাজ করবেন। এমনটা করলে শরীরের ওই অংশে রক্ত চলাচল বেড়ে যাবে। ফলে কমতে থাকবে কষ্ট।
৪. পিঠের ব্যথা যদি খুব বেশি না হয়, তাহলে হালকা-ফুলকা শরীরচর্চা করতেই পারেন। তাতে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি পিঠে রক্ত চলাচলও বেড়ে যাবে। ফলে কমতে শুরু করবে যন্ত্রণা।
৫. শরীরের কোনও জায়গায় লেগে গেলে আমরা কী করি? ওই জায়গাটায় হাতেরা তালু দিয়ে খুব জোরে জোরে ঘষতে থাকি। কারণ এমনটা করলে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ফলে যন্ত্রণা কমতে থাকে। পিঠের ব্যথার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে একটা রোলিং মাসাজার কিনে রাখতে পারেন। যখনই পিঠে ব্যথা হবে কাউকে বলবেন রোলিং মাসাজারটা দিয়ে ভাল করে পিঠে রোল করতে। এতে শরীরের এই অংশে রক্তচলাচল বেড়ে যাবে। ফলে কমে যাবে যন্ত্রণা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।