নওয়াজের ঘূর্ণিতে পাকিস্তানের টানা ‘দশ’

নওয়াজ

স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ মানেই যেনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের অসহায় আত্মসমর্পণ। অন্তত গত ৩১ বছর ধরে তা-ই হয়ে আসছে দুই দলের সিরিজে। ব্যতিক্রম ঘটলো না মুলতানে চলতি সিরিজেও। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
নওয়াজ
শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টপঅর্ডারের ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের জাদুকরী ১০ ওভারের স্পেলে সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পাকিস্তানের ২৭৫ রানের জবাবে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৫ রানে।

ফলে ১২০ রানের বড় জয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাবর আজমের দল। এ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দশম ওয়ানডে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। সবশেষ ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ৩১ বছরে আর সেই স্বাদ পায়নি তারা।

মুলতানে ২৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের ১৮তম ওভারের মধ্যে শতরান পূরণ করে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তিন উইকেট হারানোয় ঠিক স্বস্তি ছিল না তাদের। এরপরই ঘূর্ণি জাদু দেখান নওয়াজ। টানা ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন তিনি।

নওয়াজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩ উইকেটে ১০২ থেকে ৭ উইকেটে ১২০ রানের দলে পরিণত হয় ক্যারিবীয়রা। তখনই মূলত শেষ হয়ে যায় তাদের জয়ের আশা। এরপর লেজের সারির ব্যাটাররা মিলে কোনোমতে দেড়শোর ঘর পার করান দলকে। শেষ পর্যন্ত ৩২.২ ওভারে অলআউট হয় তারা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন শামার ব্রুকস। এছাড়া কাইল মায়ারস ৩৩ ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। নওয়াজের ৪ উইকেট ছাড়াও ওয়াসিম জুনিয়র ৩ ও শাদাব খান নিয়েছেন ২ উইকেট।

এর আগে মুলতানে দিবারাত্রির সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় পাকিস্তান। ফাখর জামান (১৭) অল্প রানে ফিরে গেলেও পরে ইমাম আর বাবর ১২৮ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন।

৭২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৭২ রান করা ইমাম রানআউট হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর বাবরও আউট হন সত্তরের ঘরে (৯৩ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৭৭)। হঠাৎ বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ২০ রানে হারিয়ে বসে ৪টি উইকেট। ২ উইকেটে ১৮৭ থেকে ৬ উইকেটে ২০৭ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। লড়াকু পুঁজি পাওয়াও কঠিন হয়ে গিয়েছিল।

সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারের দারুণ ব্যাটিং। শাদাব খান (২৩ বলে ২২), খুশদিল শাহ (৩১ বলে ২২), মোহাম্মদ ওয়াসিম (১৩ বলে অপরাজিত ১৭) আর শাহিন শাহ আফ্রিদি (৬ বলে ১৫) দলকে ২৭৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন ৩টি, অ্যান্ডারসন ফিলিপ আর আলজেরি জোসেফ নেন দুটি করে উইকেট।

১ ম্যাচেই ৩২টি চার, রেকর্ড গড়লেন মোহাম্মদ আশরাফুল