লাইফস্টাইল ডেস্ক : গেলো শনিবার (৪জুন) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি রাসায়নিকের নাম উঠে এসেছে। বিস্ফোরণ ঘটনার পর পরই এই রাসায়নিক পদার্থটিকে নিয়ে অনেকের কাছেই জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তারা জানতে চান হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কী? কেন এতোটা বিস্ফোরিত হয়েছে? কোথায় কোথায় এ পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কী?
ফরাসি বিজ্ঞানি লুই জ্যাক থ্যানার্ড ১৮১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আবিষ্কার করেন। এটি মূলত একটি রাসায়নিক যৌগ। যার সংকেত H2O2। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড উচ্চ ঘনত্বে একটি আক্রমণাত্মক অক্সিডাইজার। এ যৌগের কোনো বর্ণ নেই, বিশুদ্ধ অবস্থায় এটি পানির মতো বর্ণহীন তরল। তবে দাহ্য আর ভয়াবহতা বিবেচনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে এই যৌগের জলীয় দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
কেন এতোটা বিস্ফোরিত হয়েছে?
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিজে আগুন সৃষ্টি না করলেও, এটি একটি অক্সিডাইজার হিসেবে কাজ করে। অক্সিডাইজার হলো একটি রাসায়নিক যা অক্সিজেন বা অন্যান্য উপাদান (ফ্লোরিন বা ক্লোরিন) যোগ করে। যার মানে হলো, অক্সিজেন ছাড়াই আগুন জলতে পারে যদি একটি অক্সিডাইজার উপস্থিত থাকে। অর্থাৎ অক্সিডাইজারগুলো আগুনকে ব্যাপকভাবে তীব্র করতে পারে এবং এমনকি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এ কারণে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের অক্সিজেন আগুনের তীব্রতা বাড়াতে পারে এবং পর্যাপ্ত জ্বালানি এবং তাপ থাকলে আগুন জালার সম্ভাবনা বেশি করে। এটি যদি উত্তপ্ত করা হয় তবে তাপীয় প্রভাবে এটা বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। এমনকি পানির সংস্পর্শে এলেও বিস্ফোরক আচরণ করতে পারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড। এটি যেহেতু রাসায়নিক যৌগ সেই কারণে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণে কোনো আগুন লাগলে সেটি পানি দিয়ে নেভানো যায় না। এ ধরনের আগুন নেভাতে হয় অন্য কৌশলে। ফগ সিস্টেমে এ ধরনের আগুন নেভানো সম্ভব।
এ পদার্থ কোথায় ব্যবহার করা হয়?
প্রথমত এটি রকেটের জ্বালানিতে মূল চালিকাশক্তি জোগাতে ব্যবহার করা হয়। ব্লিচিংয়ের জন্য টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি বিশেষ করে ডাইং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয় । অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে বহুল ব্যবহৃত হয় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড। লেদার ইন্ডাস্ট্রিতেও এর ব্যবহার হয়। ওয়াটার ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির কাজে ব্যবহৃত হয়।
গাঢ় H2O2 রকেটের জ্বালানিতে মূল চালিকাশক্তি জোগাতে ব্যবহার করা হয়। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড যদি উত্তপ্ত করা হয় তবে তাপীয় প্রভাবে এটা বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। এমনকি পানির সংস্পর্শে এলেও একই আচরণ করতে পারে। ফরাসি বিজ্ঞানী লুই জ্যাক থ্যানার্ড ১৮১৮ সালে হাইড্রোজেন এত ঝুঁকিপূর্ণ পার-অক্সাইড আবিষ্কার করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।