স্পোর্টস ডেস্ক : তাঁদের দুজনকে নিয়েই ফুটবলবিশ্ব ছিল বিভক্ত। কে সর্বকালের সেরা? এই প্রশ্ন আজও অমীমাংসিত। দুই বছর আগে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দিয়াগো ম্যারাডোনা। সেদিন বন্ধুর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পেলে লিখেছিলেন, ‘স্বর্গে আমরা ফুটবলে মাতব বন্ধু।’
বৃহস্পতিবার ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলেও পাড়ি জমালেন ওপাড়ে। স্বর্গে হয়তো দুই কিংবদন্তির আবারও দেখা হবে। আর পৃথিবীতে তৈরি হবে শূন্যতা।
সর্বকালের সেরার প্রশ্নে পেলেকে নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না ম্যারাডোনার। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করা পেলেকেই তিনি সর্বকালের সেরা-বলেছিলেন। কয়েক বছর আগে দেয়া এক টিভি সাক্ষাৎকারে পেলের সঙ্গে নিজের তুলনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘না, না, ম্যারাডোনা ম্যারাডোনাই। পেলে সেরাদের সেরা। আমি শুধুই একজন সাধারণ খেলোয়াড়। আমি পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই না। সবাই জানে তিনি (পেলে) সর্বকালের সেরা।’
ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেলে। দুর্দান্ত সব অর্জন পেলের ফুটবল ক্যারিয়ারকে উচ্চাতার শিখরে নিয়ে গেছে। ব্রাজিলকে পেলে তিনটি বিশ্বকাপ এনে দিলেও আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা দিতে পারেন ১টি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাইয়ে ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হারতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে। জাতীয় দল এবং ক্লাবের জার্সিতে সমান ১৪টি করে শিরোপা জিতেছেন পেলে এবং ম্যারাডোনা।
দেশের জার্সিতে গোলের দিক দিয়ে ম্যারাডোনা অবশ্য পেলের চেয়ে পিছিয়ে। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯০ ম্যাচে ৭৭ গোল পেলের। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ম্যারাডোনা গোল ৯১ ম্যাচে ৩৪টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।