লাইফস্টাইল ডেস্ক : ড্রাগন ফলের নাম শুনলেই যেন মনে হয় কোনও সায়েন্স ফিকশন ছবির চরিত্রের কথা। উজ্জ্বল গোলাপি রঙের খোসা, সবুজ কাঁটাযুক্ত শাখা আর ভিতরে ‘কুকিজ অ্যান্ড ক্রিম’-এর মতো দাগযুক্ত গঠন — সব মিলিয়ে এর আকর্ষণ বেশ রহস্যময়। তবে ড্রাগন ফল শুধুমাত্র তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত নয়; এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ, যা সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সচেতনদের মন জয় করেছে।
Table of Contents
ড্রাগন ফলের আকর্ষণীয় স্বাদ ও পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের স্বাদ কিউই ও নাশপাতির মতন – হালকা মিষ্টি এবং বেশ রিফ্রেশিং। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ অসাধারণ, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আঁশ। এই পুষ্টিকর উপাদানগুলি একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি হজম প্রক্রিয়াকেও করে অতি সাবলীল। এক কাপ ড্রাগন ফলে প্রায় সাত গ্রাম আঁশ পাওয়া যায়, যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক প্রয়োজনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পূরণের সমস্ত সক্ষমতা রাখে।
প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধের মানসে আঁশসমৃদ্ধ খাবার সবসময়ই একটি মূল্যবান সম্পদ। আঁশ দেহের পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে পাওয়া প্রিবায়োটিক উপাদান অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়, ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়।
ড্রাগন ফলের বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা
ড্রাগন ফলের মধ্যকার ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রণের মত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ দেহকে শক্তি প্রদান করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে করে আরও মজবুত। এছাড়াও, এই ফলের কম ক্যালোরির কারণে এটি একটি আদর্শ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর নিম্ন চিনি এবং উচ্চ জলীয় উপাদান এটিকে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাবাদে এগিয়ে রাখে।
ড্রাগন ফল হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, পাশাপাশি ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা এবং বাড়ায় শরীরের কর্মশক্তি। সরাসরি ফল হিসেবে খাওয়া যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্মুদি বা শরবতে ব্যবহার করেও এটি উপভোগ করা যায়।
বিশ্বজুড়ে ড্রাগন ফলের চাষ এবং এর জনপ্রিয়তা
‘পিতায়া’ নামেও পরিচিত এই ফলটির উৎপত্তি মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্য আমেরিকার উপকূলীয় অঞ্চল যেমন গুয়াতেমালা, কোস্টারিকা এবং এল সালভাদোরে। তবে সময়ের সাথে সাথে এটি এশিয়া সহ বিশ্বের নানা উষ্ণ অঞ্চলেও চাষ হচ্ছে। গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত এর মৌসুম চলে।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণের কারণে এটি দিনে দিনে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ফলে যে কোনও ধরনের খাদ্যাভাসে যদি এই অনন্য ফলটি যোগ করা যায়, তাহলে তাদের স্বাস্থ্য সচেতন জীবনধারা রক্ষায় এটি হতে পারে একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
FAQs
ড্রাগন ফল খেতে সুস্বাদু কিনা?
হ্যাঁ, ড্রাগন ফল কিউই ও নাশপাতির মাঝামাঝি স্বাদের হয় যা খুবই রিফ্রেশিং।
ড্রাগন ফলে কী কী পুষ্টিগুণ আছে?
ড্রাগন ফল প্রচুর ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আঁশে সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হজম সহায়তায় কার্যকর।
কোথায় ড্রাগন ফল বেশি চাষ হয়?
ড্রাগন ফল মূলত মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্য আমেরিকার উপকূলীয় অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। তবে এখন এটি এশিয়াসহ বিশ্বের নানা উষ্ণ অঞ্চলেও চাষ হয়ে থাকে।
ড্রাগন ফলের মৌসুম কবে শুরু হয়?
গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ড্রাগন ফলের মৌসুম চলে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা কী কী?
ড্রাগন ফলের উপকারিতার মধ্যে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।