লাইফস্টাইল ডেস্ক : একটি নতুন গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে যা দেখাচ্ছে যে, পিতার মানসিক চাপ তার শুক্রাণুতে স্থায়ী চিহ্ন রেখে যায় এবং এটি তার সন্তানদের বিকাশের উপর প্রভাব ফেলে।
এই গবেষণা, যা ‘মলিকুলার সাইকিয়াট্রি‘ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, এপিজেনেটিক্সের ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে। এপিজেনেটিক্স হল সেই বিজ্ঞান যা পরিবেশগত কারণগুলি কীভাবে জিনের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করতে পারে, অথচ ডিএনএ সিকোয়েন্সে কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে, তা পরীক্ষা করে।
এই ধরনের এপিজেনেটিক পরিবর্তনগুলি মলিকুলার সুইচের মতো কাজ করে, যা জিনগুলিকে চালু বা বন্ধ করতে পারে এবং বিভিন্ন জীববৈচিত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষকরা ৫৮ জন পুরুষের শুক্রাণু নমুনা পরীক্ষা করেছেন, যাদের অধিকাংশের বয়স ৩০-এর শেষ বা ৪০-এর শুরুর দিকে ছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ তাদের শৈশবে অধিক মানসিক চাপ অনুভব করেছিলেন, তাদের শুক্রাণুর এপিজেনেটিক প্রোফাইল সেগুলির তুলনায় আলাদা ছিল, যারা কম মানসিক চাপ অনুভব করেছেন। এই পার্থক্যগুলো ধূমপান বা মদ্যপানের মতো অন্যান্য কারণের কথা মাথায় রেখে বিশ্লেষণ করার পরও সেগুলি বজায় ছিল, যা এটাই প্রমাণ করে যে শৈশবের অভিজ্ঞতাগুলি দীর্ঘস্থায়ী এপিজেনেটিক চিহ্ন রেখে যেতে পারে।
গবেষকরা আরও একটি ছোট নন-কোডিং আরএনএ অণুতে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন, যা পূর্বে মাউসের মস্তিষ্কের উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত ছিল, পাশাপাশি ডিএনএ মিথাইলেশন প্যাটার্নে পরিবর্তনও দেখা গেছে যা প্রাথমিক মস্তিষ্কের উন্নয়নের সাথে জড়িত জিনগুলির কাছে ছিল।
যদিও এই ফলাফলগুলো শৈশবের মানসিক চাপ এবং শুক্রাণুর এপিজেনেটিক পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্কের সম্ভাবনা দেখায়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি এখনও প্রাথমিক গবেষণা।
গবেষণাটি এখনও নিশ্চিত হয়নি যে এই এপিজেনেটিক পরিবর্তনগুলি সন্তানের মধ্যে প্রবাহিত হয় কি না বা তাদের প্রকৃত প্রভাব কী হতে পারে। ভবিষ্যতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে জানা যায় শুক্রাণুর এই এপিজেনেটিক পরিবর্তনগুলি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য এবং উন্নয়নে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: নেচার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।