জুমবাংলা ডেস্ক : নুরভানু। বয়স পঞ্চাশ। স্বামী মৃত আবদুল হক। উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের বাসিন্দা। পরপর তিনবার মেঘনার ভাঙ্গনে সহায়সম্বল সব হারিয়ে দিশেহারা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ও অন্যদের সহযোগিতায় পুরনো ভাঙা টিন দিয়ে বেড়িবাঁধের পাশে খাসজমিতে বসবাস। শুধু নুরভানু নয়, মেঘনার কড়ালগ্রাসে ভোলার মনপুরা উপকূলে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তার আওতায় অনুদানের চেক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী ও ইউএনও মো. শামীম মিঞা।
এ সময় নুরভানুর হাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের ৭৫ হাজার টাকা চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুদানের চেক পেয়ে খুশিতে কাঁদতে শুরু করেন নুরভানু। বললেন- হাজার বছর বেঁচে থাক প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে দুই হাত তুলে দোয়া করলেন- প্রধানমন্ত্রী যেন হাজার বছর বেঁচে থাকেন।
নুরভানু ছাড়াও হাজীরহাট ইউনিয়নের নদী ভাঙনে দিশেহারা ইউসুফ, ইউনুচ, হেলাল, বিবি মাফিয়া, নিকুঞ্জ দাস ও ধারা দাসের হাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
শুধু নুরভানু নয় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত ১৫০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস মিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস মিয়া ও প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।