আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাফিজাবাদে এসে রীতিমতো প্রথা মেনে বিয়ে করেছেন ব্রোমা আর হাফিজ। লাল পোশাকে সেজেছেন ৮৩ বছরের পাত্রী। হাতে মেহেন্দি পরেছেন। ভালবাসার বয়স হয় না। বয়স মেপে ভালবাসা হয় না। আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন ব্রোমা। মনের মানুষকে বিয়ে করবেন বলে পোল্যান্ড থেকে ছুটে এলেন পাকিস্তানে। ব্রোমার বয়স ৮৩। আর তাঁর প্রেমিকের বয়স ২৮।
সুদূর পোল্যান্ড থেকে হাফিজাবাদে ছুটে এসেছেন ব্রোমা। উদ্দেশ্য একটাই। হাফিজ মহম্মদ নাদিমকে বিয়ে করবেন। হাফিজ অটো সারাই করেন। সে সব নিয়ে অবশ্য এক বারও ভাবেননি ব্রোমা। একটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে হাফিজ জানান, ছ’বছর আগে আলাপ হয়েছিল ব্রোমার সঙ্গে। তার পর নিয়মিত কথা হত। কিন্তু কখনও দেখা হয়নি। বিয়ের সময়ই প্রথম দেখা।
হাফিজাবাদে এসে রীতিমতো প্রথা মেনে বিয়ে করেছেন ব্রোমা আর হাফিজ। লাল পোশাকে সেজেছেন ৮৩ বছরের পাত্রী। হাতে মেহেন্দি পরেছেন। আবার মুসলিম রীতি মেনে পাত্রকে হক মেহের অর্থাৎ টাকাও দিয়েছেন। হাফিজের পরিবার জানিয়েছে, তুতো বোনের সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল হাফিজের। কিন্তু তিনি রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ব্রোমাকেই বিয়ে করেন। অসমবয়সের কারণে এই বিয়ের ছবি এখন ভাইরাল নেটমাধ্যমে। যদিও হাফিজরা একা নন।
গত মাসে ফিলিপিনসে ৭৮ বছরের এক প্রবীণ ১৮ বছরের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। রাশাদ মাঙ্গাকোপ নামে ওই প্রবীণ পেশায় কৃষক ছিলেন। তিন বছর আগে একটি পার্টিতে হালিমা আবদুল্লার সঙ্গে দেখা হয়। হালিমার বয়স তখন ১৫। এর আগে কখনও কারও প্রেমে পড়েননি রাশাদ। বিয়েও করেননি। গত তিন বছর ধরে এক সঙ্গেই থাকছিলেন তাঁরা। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।