জুমবাংলা ডেস্ক: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি যাওয়া নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বাস ও লঞ্চ মালিকদের প্রতি বেশকিছু অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাস কিংবা লঞ্চে না ওঠা, অদক্ষ অপেশাদার ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের না করতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চ স্টিমার স্পিডবোট ভ্রমণ না করা এবং নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ড্রাইভার দিয়ে নৌযান পরিচালনার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ছাড়ার পাশাপাশি বৈধ কাগজবিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে যে কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধে করা হয়েছে। প্রয়োজনে জরুরি সেবা পেতে ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে (০১৩২০০০১২৯৯), হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৮২৫৯৮), রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৭৭৫৯৮), নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৬৯৫৯৮), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) (০১৭৭৭৭২০১৯৯) নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ
১. যারা ঈদে বাড়ি যাবেন তারা ঈদের আগে ও পরে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদের আগে বাড়ি পাঠিয়ে দিন।
২. চালককে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে তাগাদা দিবেন না।
৩. জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে যাবেন না।
৪. রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হউন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ওভার স্পিডিং করবেন না।
৫. অপরিচিত কেউ কিছু দিলে খাবেন না।
বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ
১. অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে বাস/গাড়ি চালাতে দিবেন না।
২. চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দিন।
৩. বাসে যেন অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো না হয় তা নিশ্চিত করুন।
৪. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করবেন না।
বাস চালকদের প্রতি অনুরোধ
১. ওভার স্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং করবেন না।
২. ক্লান্তি বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।
৩. ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সঙ্গে রাখুন।
৪. সড়ক/মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলুন।
লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোটের যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ
১. অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না।
২. নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না, এতেও নৌযানের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
৩. দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
৪. পথিমধ্যে ঝড় দেখা দিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন।
৫. স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।
৬. অপরিচিত কেউ কিছু দিলে খাবেন না।
লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট মালিকদের প্রতি অনুরোধ
১. নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করুন।
২. দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করলে নৌযানের যাত্রা স্থগিত রাখার জন্য মাস্টারকে নির্দেশ দিন।
৩. নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন।
৪. লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন।
লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট চালকদের প্রতি অনুরোধ
১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন।
২. ডেকের ওপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন।
৩. নির্দিষ্ট সংখ্যক বয়া/লাইফ জ্যাকেট নৌযানে আছে কিনা নিশ্চিত করুন।
৪. পথিমধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা কিনারায় ভিড়িয়ে রাখুন।
৫. নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন।
৬. বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন।
৭. সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নি নিরোধ যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন।
৮. দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান শনাক্ত করণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।
ট্রেন যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ
১. ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
২. ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন এবং ট্রেন ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন।
৩. অপরিচিত কেউ কিছু দিলে খাবেন না।
পরের দিনের টিকিটের জন্য কাউন্টারের সামনে আগের দিনই লম্বা লাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।