বিনোদন ডেস্ক : প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে বলিউডে কাজ করছেন অমিতাভ বচ্চন। বয়স আশির দোরগোড়ায় থাকলেও এখনও শাহেনশাহর ভক্ত সংখ্যা দেখে লজ্জায় পড়ে যান অন্যান্য স্টাররা। অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চন থেকে শুরু করে অভিষেক বচ্চন এবং তার স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত অভিনয় জগতের সাথে। লাইমলাইটে কিভাবে থাকতে হয় তা খুব ভালো মত জানে বচ্চন পরিবার। এমনকি এই পরিবারের নানান কেচ্ছা শুনলে অবাক হবেন সকলে। অমিতাভ ঐশ্বর্যের সম্পর্কের গভীরতা থেকে শুরু করে প্রেম-চুম্বন-পরকীয়া একাধিক বিতর্ক জড়িয়ে রয়েছে বচ্চন পরিবারের সাথে।
বয়সের কারণে দীর্ঘদিন চরিত্র বাছাইয়ে সমস্যা হচ্ছিল বিগ বির। এমনকি ২০০৩ সালে বুম নামের একটি বি গ্রেড ছবিতেও অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এই ছবিতে তার পাশাপাশি অভিনয় করেন গুলশান গ্রোভার এবং ক্যাটরিনা কাইফ। চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের কারণেই বচ্চন এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে ধরা হয়। এমনকি সেই সময় তার সুপুত্র অভিষেক বচ্চন বিদেশে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে চলে আসেন ভারতে।
অমিতাভ কন্যা শ্বেতা বচ্চনও প্রায় সবসময়ই লাইমলাইটে থাকেন। তবে মায়ের সাথে নাকি খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই তার, এমনটিই জানা যায়। শোনা যায় শ্বেতার যখন মাত্র ২১ বছর বয়স তখন জয়া বচ্চন জোড় করে নিখিল নন্দার তার বিয়ে দেন। পরবর্তীকালে নিজের ডিভোর্সের জন্যেও মা জয়া বচ্চনকেই দায়ী করেছেন শ্বেতা। এই মুহূর্তে শ্বেতা তার বাবার বাড়িতেই থাকেন।
এমনকি শ্বেতা ও ঐশ্বর্যের মধ্যে খুব একটা ভালো সম্পর্ক না। বরাবরই দুজন দুজনকে এড়িয়ে চলেন। আসলে ঐশ্বর্যের আগে অভিষেকের সাথে প্রেম করতে কারিশমা কাপুর, যিনি আবার শ্বেতা বচ্চনের খুব ভালো বন্ধু। সেকারণে ঐশ্বর্যকে নিজের ভাইয়ের বউ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেননি শ্বেতা। এমনকি জয়া বচ্চনও নিজের পুত্রবধূ রূপে ঐশ্বর্যকে ঠিক পছন্দ করেন না।
শোনা যায় ঐশ্বর্যের জনপ্রিয়তা অভিষেক বচ্চনের চেয়ে ঢের বেশি হওয়ায় জয়া পছন্দ করেন না ঐশ্বর্যকে। উল্টোদিকে অমিতাভের প্রিয় যে একমাত্র ঐশ্বর্য তা বোঝাতে তিনি ভোলেন না। একাধিক অনুষ্ঠানে পুত্রবধূকে নিজে নিয়ে জন তিনি। বাড়ি ঢুকেই সবার প্রথমে তারই খোঁজ করেন বিগ বি।
অমিতাভের নাতনির নভ্যা নাভেলিও সর্বদা শিরোনামে থাকতে পছন্দ করেন। শোনা যায় জাভেদ জাফরির ছেলে মিজান জাফরির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বারে। তবে দুজনের পরিবারে জানাজানি হতেই সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।