আবুল কালাম আজাদ (বিপ্লব): মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মোঃ রুবেল(৩৬) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ লাশ উদ্ধারের ৬ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের আসামী মোঃ বিজয় (১৯) ও মোছাঃ শ্রাবনী আক্তার (১৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়া এবং গোপন ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক কাজের কুপ্রস্তাব দেয়ায় খুন হন মোঃ রুবেল মিয়া।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর গ্রামের মোঃ আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ বিজয় (১৯) ও মোঃ আল আমিনের স্ত্রী মোছাঃ শ্রাবনী আক্তার (১৮)।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে লাশ উদ্ধারের ৬ ঘন্টা মধ্যে উপজেলার ফোর্ডনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৪, সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ও ভিকটিম প্রতিবেশী। আসামী শ্রাবনী আক্তার সম্পর্কে ভিকটিমের প্রতিবেশী ভাতিজি। আসামী বিজয়ের সাথে শ্রাবনী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভিকটিম ঘটনার ৫ দিন পূর্বে বিজয়কে উক্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে এবং ব্যবহৃত মোবাইল হেফাজতে নিয়ে কৌশলে স্পর্শকাতর ছবি নিজের ব্যক্তিগত মোবাইলে নিয়ে অবৈধ সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে। সরে না আসলে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় নিহত রুবেল। শ্রাবনী আক্তারকে একা পেয়ে স্পর্শকাতর ছবির কথা উল্লেখ করে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দেয় রুবেল। প্রস্তাবে রাজি না হলে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ১ টার দিকে মোবাইলের মাধ্যমে অনৈতিক প্রস্তাবের কথা বলে ফোর্ডনগর সাকিনস্থ আক্তার ডেইরী ফার্ম সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে আসতে বলে। দেখা করে কথা বার্তা বলতে থাকে। পরিকল্পনামতো ওৎ পেতে থাকা আসামী বিজয় ভিকটিমের মাথার পিছনে ইট দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আসামী শ্রাবনী ভিকটিমের পা চেপে ধরে, আসামী বিজয় তার সাথে থাকা কাপড় কাটার বড় কেচি দিয়ে মাথায় ও গলায় উপর্যুপুরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিম রুবেলের মৃতদেহ ও আলামত নদীর মধ্যে ফেলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
নিখোঁজের ২ দিনপর ৮ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ধলেশ্বরী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রুবেল ধামরাইয়ের ফোর্ডনগর এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে, তিনি দুই সন্তানের জনক।
আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী চরিত্র ত্যাগ করতে পারেনি : শফিকুর রহমান
র্যাব-৪ সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার মোঃ আরিফ হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসামীদ্বয়ের মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করে। এঘটনায় সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে সিংগাইর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।