জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এতে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাত একটার দিকে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোয়ালঘর পুড়ে গেছে। বাড়ির কয়েকটা স্থানে আগুনের চিহ্ন। উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে এসে ভিড় করেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সম্রাটের সাথে প্রায় চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভুক্তভোগী প্রেমিকার। তবে দুই বছর আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিচ্ছিল। এনিয়ে কয়েকবার সালিশও হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রেমিকা বলেন, সম্রাটের সাথে প্রায় চার বছর আগে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় দুই বছর আগে সম্পর্ক ভেঙে গেছে। সম্পর্ক ভাঙার পর থেকে পথেঘাটে অ্যাসিড নিক্ষেপ, হত্যা ও পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছিল। এনিয়ে কয়েকবার সালিশও হয়েছে। সালিশের পরও সম্রাট আমাকে বিরক্ত করছে। আমি সম্রাটের হাত থেকে বাঁচতে চাই।’
ওই প্রেমিকার বাবা বলেন, নন্দনালপুর ইউনিয়নের এলংগী গ্রামের ভ্যানচালক বিল্লাল শেখের ছেলে সম্রাট শেখ দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পথেঘাটে বিরক্ত করে আসছিল। মাঝেমাঝে বিয়ের জন্য বাড়িতে লোক পাঠায়। কিন্তু আমরা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই হুমকি দিত। কয়েকবছর আগে সম্রাট সৌদি আরবে চলে গেছে। সেখান থেকে সম্রাট নিয়মিত ফোনে আমার মেয়েকে হত্যা ও আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।
তিনি বলেন, শনিবার রাত একটার দিকে আমার গোয়ালঘর, বসতঘরের প্রবেশপথ ও রান্নাঘরে আগুন জ্বলে উঠে। এসময় আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও পুড়ে গেছে গোয়ালঘর, গোয়ালঘরে থাকা দুই মণ রসুনের বীজ, শ্যালো ইঞ্জিন ও প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের তিনটা ষাঁড় গরু।
তিনি আরো বলেন, এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সম্রাট বিদেশ থেকে তার লোকজন দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। আমি থানায় মামলা করব।
তবে আগুন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সম্রাটের মা স্বর্ণ খাতুন বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের অনেকদিনের সম্পর্ক। আমরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়েও ওদের বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু মেয়ের বাবা-মা বিয়েতে রাজি না। কিন্তু আমরা কারও বাড়িতে আগুন দিইনি। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।