জুমবাংলা ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন ও দেলোয়ার হোসেনের নাম বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও গেজেটভুক্ত হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন উলিপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। পরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও উলিুপর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, সংসদ সদস্য এম এ মতিন ১৯৭৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তার পরিবার রাজাকার পরিবার, তার ভাই আব্দুল করিম ছিলেন উলিপুর উপজেলা রাজাকার কমান্ডার। তারা মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনকারী। তিনি কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। লাল মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকা এবং ২০০৫ সালে প্রকাশিত গেজেটে তার নাম নেই। তিনি ২০১৪ সালে অনলাইনে আবেদনও করেননি এবং সেই তালিকায় তার নাম নেই।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক এই ডেপুটি কমান্ডার আরও বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি (এম এ মতিন) গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে দাবি করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন। এছাড়া দেলোয়ার হোসেন নামে অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। আমরা এই দুই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের আহ্বান করছি। এটা না করা হলে তারা এই দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, সংসদ সদস্য এম এ মতিন ১৯৭৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাত সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ৭নং সদস্য ছিলেন। তার হাতে উলিপুর শহরে গড়া এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজের এমপিওভুক্ত করার জন্য তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকারের মন্ত্রী ও দলের মহাসচিব মান্নান ভূইয়া তাকে বিএনপি পরিবারের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এমন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট দেওয়ায় নিন্দা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাজাহান আলী, আব্দুল খালেক সরকার, আব্দুল জলিল সরকার, আব্দুল মজিদ সরকার, শমসের আলীসহ উলিপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য এম এ মতিন জানান, বিষয়টি রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসূত। তিনি বলেন, আমি ২০১১ সালে আবেদন করি। যাচাই-বাছাই ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার আমাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব অনুমোদন দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।