লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতকাল এলেই পা ফাটতে শুরু করে। পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা ছেলেমেয়ে সবার মধ্যেই দেখা যায়। প্রতি রাতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ফুট ক্রিম ব্যবহার করা অথবা বাইরে থেকে ঘুরে এসে ভাল করে পা ধুয়ে নেয়াই শুধু পায়ের যত্নের শেষ কথা নয়। পায়ের খেয়াল রাখতে নজর দিতে হবে জুতো বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও। আর পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবে কিছু নিয়ম মানলে পায়ের ত্বক থাকবে কোমল ও পরিষ্কার।
১. সঠিক ময়েশ্চারাইজার
অলিভ তেল কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ে ব্যবহার করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসাবে। এতে পায়ের ত্বক নরম এবং টান টান থাকবে। তবে ময়েশ্চরাইজার ব্যবহারের আগে পা হালকা গরম পানিতে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পিউমিক স্টোন দিয়ে ভাল করে ঘষে স্ক্রাব করে নিতে হবে। তার পর ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে মোজা পরে নিন। এতে পায়ের ত্বকে জমে থাকা ময়লা উঠে যাবে। প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চলুন।
এছাড়াও হাতে পরিমাণ মতো মধু নিয়ে গোড়ালিতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই নিয়ম মেনে চলুন। কয়েকদিনেই পার্থক্য চোখে পড়বে।
২. নারিকেল তেল
নারিকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতার জোগানও দেয়। একই সঙ্গে ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো সরিয়ে ত্বককে আরো সজীব করে তোলে। পায়ের গোড়ালি ফাটা ঠেকাতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে পুরো পায়ে ভালোভাবে মালিশ করবেন। এরপর মোজা পরে ঘুমাতে যাবেন। শীতে পা ভালো থাকবে।
৩. সুতির মোজা পরুন
পায়ের ত্বকের কথা ভেবে সুতির মোজার উপর ভরসা রাখতে পারেন। তবে দিনে একটানা সাত-আট ঘণ্টা এক মোজা পরার পর, পরের দিন আর সে মোজা পরবেন না। মোজা নোংরা না হলে বা তেমন গন্ধ না হলে অনেকেই একই মোজা পর পর দু’দিন ব্যবহার করেন। পায়ের জন্য এই অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ। ঘাম না হলেও মোজা এক টানা পরলে পায়ে নানা ফাঙ্গাল সংক্রমণ হয়। তবে মোজা পরার আগে পা মুছে নিন। ভেজা পায়ে মোজা পরা ঠিক হবে না।
৪. নখের যত্ন
পায়ের যত্নের পাশাপাশি নখের যত্নও নিতে হবে। নখ ঠিক ভাবে কাটতে হবে। নখ শুধু কাটলে হবে না। নখ পরিষ্কারও করতে হবে। ময়লা জমে নখের সংক্রমণ থেকেও পায়ের ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।