এই ৫টি কৌশলে প্রতিরোধ করুন হাই ব্লাড প্রেশার

ব্লাড প্রেশার

লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাই ব্লাড প্রেশার একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এই তালিকায় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকসহ একাধিক প্রাণঘাতী রোগ রয়েছে। তাই এই রোগ নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি।

ব্লাড প্রেশার

বিশেষজ্ঞদের কথায়, রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্তনালীর অন্দরে একটা চাপ তৈরি করে, যার নাম রক্তচাপ। সাধারণত আমাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ হল ১২০/৮০ এমএম/এইচজি। তবে রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেলেই কিন্তু চিত্তির!

তখন ধরে নিতে হবে ব্যক্তি হাই ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত। তাই বিশেষজ্ঞরা সকলের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই এই রোগ প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসবে, এই রোগকে প্রতিরোধ করা যাবে কী ভাবে?

আসুন এই বিষয়টাই এই প্রতিবেদন থেকে দ্রুত জেনে নেওয়া যাক। আশা করছি, এই নিবন্ধে উল্লেখিত কৌশল ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলেই আপনি ব্লাড প্রেশারের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

হেলদি খাবার খেলেই শরীর থাকবে সুস্থ​: শরীর ও স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে চাইলে আপনাকে বাইরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবারে না বলতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে নুন যা কিনা সুগার বাড়াতে পারে। তাই বাইরের খাবারের বদলে বাড়িতে রান্না করে খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

এছাড়া রোজের পাতে ফল, শাক ও সবজি রাখার চেষ্টা করুন। এইসব প্রাকৃতিক খাবারে উপস্থিত থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা হাই প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন শাক, সবজি ও ফল খাওয়াটা মাস্ট।

ওজন থাকুক স্বাভাবিকের গণ্ডিতে​: ওজনের কাঁটা স্বাভাবিকের উপরে গেলে সমস্যার শেষ থাকবে না। এমনকী বাড়তে পারে হাই প্রেশারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। তাই সময় থাকতে থাকতে নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন।

এভাবেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারবেন বলে জানাচ্ছে সিডিসি। তাই আজ থেকেই ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন। দিনে কিছুটা সময় ব্যায়াম করলে এবং ডায়েট থেকে ফ্যাট যুক্ত খাবার বাদ দিয়ে দিলেই দেহে মেদের বহর কমতে বাধ্য।

শরীরচর্চা মাস্ট​: সুস্থ জীবন কাটাতে চাইলে আপনার ব্যস্ততা ভরা টাইম-টেবিল থেকে মাত্র ৩০ মিনিট বের করে ব্যায়াম করুন। এক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের ব্যায়াম করলেই উপকার পাবেন। তবে সবথেকে ভালো হয় সাঁতার, সাইকেল চালানো বা হাঁটার মতো এরোবিক এক্সারসাইজ করতে পারলে।

এতেই দেখবেন কাজ হবে দ্রুত। আপনার প্রেশার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর চাইলে জিমে গিয়েও ঘাম ঝরাতে পারেন। নিয়মিত স্ট্রেনথ করতে পারলেও উপকার পাবেন হাতেনাতে। তাই শুভ কাজে আর দেরি কেন!

ধূমপান বন্ধ​: ধূমপান যে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তা জানেন নিশ্চয়ই। এমনকী এই বদভ্যাস কিন্তু হাই প্রেশারেরও কারণ। এমনকী বিভিন্ন গবেষণায় এই বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রমাণিতও হয়ে গিয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধূমপানের অভ্যাসটা ছেড়ে দিন। এতেই উপকার পাবেন।

এছাড়া নিয়মিত মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলেও কিন্তু সাবধান হতে হবে। কারণ অ্যালকোহলও প্রেশার বাড়াতে পারে। তাই সাবধান হয়ে এই বিষাক্ত পানীয়ের থেকেও দূরত্ব বজায় রাখুন।

লবন প্রীতি কমান: অনেকেই ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবন খান। আর এই অত্যধিক লবন প্রীতিই কিন্তু তাদের শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই খাওয়া থালায় কাঁচা লবন খাওয়াটা বন্ধ করে দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

এবার অনলাইনে প্রেমিককে বিয়ে করলেন প্রেমিকা!

এমনকী রান্নাতেও যতটা সম্ভব কম লবন মেশান। শুধু এই নিয়মটুকু মেনে চলতে পারলেই কিন্তু হাই ব্লাড প্রেশারকে ডজ করে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে পারবেন। তাই পাতে লবন খাওয়ার বদভ্যাসটা যত দ্রুত সম্ভব ত্যাগ করুন।