আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পর বহু নাটকীয় ঘটনার জন্ম হয়েছে পাকিস্তানে। ইমরান খান, নওয়াজ, বিলাওয়াল ভুট্টো থেকে শুরু করে দেশটির বাঘা বাঘা নেতাদের নানা বক্তব্য আর কর্মকান্ডে অনেকটাই ধোঁয়াশার জন্ম হয়, দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে।
আজ রবিবার (৩ মার্চ) সব ধোঁয়াশা কেটে নতুন সুর্য্য উঠবে দেশটিতে। জানা যাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে বসাচ্ছে নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সংসদ সদস্যরা। প্রশ্ন উঠেছে, কারাবন্দি পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান কি পারবেন নির্বাচনের মতো আরেকটি ‘ম্যাজিক স্পেল’ দেখাতে! যাতে ‘বোল্ড আউট’ হবে পিপিপি ও পিএমএল-এন প্রার্থী শাহবাজ শরিফ।
গেল ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর এবার জাতীয় পরিষদের নেতা, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়ে প্রার্থী দিয়েছেন নির্বাচনের জন্য।
জানা গেছে, পিএমএল-এনের প্রার্থী শাহবাজ শরিফকে সমর্থন দিয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ফলে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ অনেকটাই সুগম তার। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে যত আসন দরকার, ওমর আইয়ুবের ততটি আসন নেই। তবে প্রশ্ন উঠছে সংরক্ষিত আসন ভাগাভাগি নিয়ে। এ বিষয়টির এখনো সুরাহা হয়নি।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রার্থী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে। শনিবার দুই দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের সচিবালয় থেকে দুজনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। ফলে রোববার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী পদে ভোটগ্রহণ হবে। জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন।
দেশটির সংবিধানে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৩৩৬ পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেওয়া হবে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
আল-জাজিরার এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই আজ প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হচ্ছে।
ছোট পর্দায় নিজেকে আটকে না রেখে চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান সাফা কবির
এদিকে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পদে এখন পর্যন্ত পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। তবে অনেকটিই নিশ্চিত যে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান আসিফ জারদারিই হচ্ছেন নতু প্রেসিডেন্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।