বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বোন মান্নারা চোপড়া। দুই বোন বলিউড থেকে হলিউডেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বলিউডে মান্নারা ততটা জায়গা করতে পারেননি। ৯ বছর পর সম্প্রতি তাকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তারই প্রথম সিনেমার সহ-অভিনেত্রী শ্রদ্ধা দাস।
শ্রদ্ধা দাসের কথায়, ‘মান্নারা তাকে এমন ভাবে মারধর করেছেন যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তার শরীরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল।
তিনি জানান, এ সবই ঘটেছিল ২০১৪ সালে তাদের ‘জিদ’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন। তাকে (মান্নারাকে) অ্যাকশন ডিরেক্টর চোখে চোখ রেখে দৃশ্যগুলি করার অনুরোধ করেন। তবে মান্নারা অ্যাকশন ডিরেক্টরের কোনো কথাই কান দেননি।
শ্রদ্ধা বলেন, ‘আমাদের রাবার ও থার্মোকলের লাঠি দিয়ে একটি ফাইট সিকোয়েন্স শ্যুট করার কথা ছিল। কিন্তু মান্নারা একটা আসল বাঁশের লাঠি তুলে নিয়ে মারামারি শুরু করে। তাতে আমার ডান চোখে আঘাত লাগে। আমি আর সহ্য করতে পারিনি, চিৎকার শুরু করি। আমাকে সেদিন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাকশন ডিরেক্টর আমাকে হালকাভাবে ধাক্কা দিতে বলেছিলেন, কিন্তু মান্নারা তা করেননি। যখন আমি সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলাম এবং উঠে বলেছিলাম, বিষয়টা একটু সহজ ভাবে নিতে। আমি ভেবেছিলাম যে, মান্নারা নতুন, তাই হয়তো ও খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। মান্নারা বলেন, যে তিনি এরপর থেকে নরম হবেন। তবে পরের শ্যুটেও মান্নারা ফের আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ফের আমাকে জোরে আঘাত করতে শুরু করেন।’
ডাম্বফোন কাঁপাচ্ছে সারা দুনিয়া, স্মার্টফোনের থেকে যেখানে এগিয়ে এই মোবাইল
ব্যথা এবং ফোলা চোখ নিয়েও পরের দিন সেটে হাজির হন শ্রদ্ধা। এরপরও ফের তার ওপর হামলা চালানো হয় জানিয়ে শ্রদ্ধা বলেন, ‘একটা দৃশ্যের জন্য আমাকে দড়ি দিয়ে ঝুলতে হয়েছিল এবং মান্নারাকে আমার বুকে হালকাভাবে আঘাত করতে বলা হয়। তবে মান্নারা পাগল হয়ে গিয়েছিল, ও বুকের ঠিক নীচে আমাকে জোরে লাথি মারে। তার উপর ও হিল জুতা পরেছিল। ফাইট সিকোয়েন্সের শেষে, আমার শরীরে প্রায় ৩০টিরও বেশি জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।