লাইফস্টাইল ডেস্ক: ইউরিক এসিড বৃদ্ধির সমস্যা বর্তমানে অনেকের মাঝেই দেখা যায়। শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে গাউট, জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব এবং কিডনির সমস্যার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। যদিও স্বাভাবিক মাত্রায় ইউরিক এসিড শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত হলে তা হতে পারে বিপজ্জনক।
এ কারণেই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। কিছু প্রাকৃতিক বীজ রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। নিচে এমন কিছু কার্যকর বীজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো—
১. কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে কার্যকর।
সুবিধা:
ইউরিক এসিডের স্ফটিকীকরণ রোধ করে
প্রদাহ কমায়
ফাইবার শরীর ডিটক্স করে
খাওয়ার উপায়:
ভাজা বীজ ব্রেকফাস্টে বা সালাদে মিশিয়ে খেতে পারেন।
২. ফ্ল্যাক্স সিড
ফ্ল্যাক্স সিডে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড ও লিগনান, যা প্রদাহ কমিয়ে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সুবিধা:
ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়
ফাইবার ইউরিক এসিড অপসারণ করে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে পরিষ্কার রাখে
খাওয়ার উপায়:
পেস্ট করে দই, সালাদ বা স্মুদিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
৩. সূর্যমুখী বীজ
সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম ও স্বাস্থ্যকর চর্বি যা ইউরিক এসিড উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
খাওয়ার উপায়:
হালকা ভেজে খাওয়া যায় অথবা স্মুদি-দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
৪. চিয়া সিড
চিয়া সিড প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর, যা ইউরিক এসিড অপসারণে কার্যকর।
সুবিধা:
কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে
হাড় শক্ত করে
শরীর ডিটক্সিফাই করে
খাওয়ার উপায়:
ভিজিয়ে স্মুদি বা ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৫. তিল
তিলের বীজে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা জয়েন্ট ব্যথা কমাতে সহায়ক।
সুবিধা:
প্রদাহ কমায়
পাচনতন্ত্র ভালো রাখে
ইউরিক এসিডের বিপাক উন্নত করে
খাওয়ার উপায়:
ভাজা তিল সালাদে বা লাড্ডু তৈরি করে খাওয়া যায়।
FAQs
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে কোন বীজ সবচেয়ে কার্যকর?
ফ্ল্যাক্স সিড ও চিয়া সিড উভয়ই প্রদাহ কমায় ও ইউরিক এসিড অপসারণে সাহায্য করে।
কুমড়ার বীজ কি প্রতিদিন খাওয়া যায়?
হ্যাঁ, প্রতিদিন ১-২ চামচ ভাজা কুমড়ার বীজ খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী।
সূর্যমুখী বীজ কি ইউরিক এসিড কমায়?
সূর্যমুখী বীজে থাকা ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম ইউরিক এসিড উৎপাদন কমাতে সহায়তা করে।
চিয়া সিড কতটা উপকারী?
চিয়া সিড ফাইবার ও ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর।
তিল খাওয়া কি গাউট রোগীদের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, তিলের প্রদাহ-বিরোধী গুণ গাউট রোগীদের জন্য সহায়ক।
ইউরিক এসিড কমাতে ফ্ল্যাক্স সিড কীভাবে খাওয়া উচিত?
ফ্ল্যাক্স সিড পেস্ট করে দই বা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।