স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠে চলছে ফুটবল ম্যাচ। দর্শকদের ভেতরে টানটান উত্তেজনা। সেখানে উপস্থিত দুই তরুণীর মাথায় ঘুরছিল ভিন্ন বিষয়। তারা চাইছিলেন এইদিনেই নিজেদেরকে আনবেন প্রচারের আলোয়। সেই ভাবনা থেকেই ঊর্ধ্বাঙ্গ পুরোপুরি অনাবৃত করে তারা নেমে পড়েন দর্শকভরা মাঠে। উদ্দেশ্য সফলও হয়। পরেরদিন তাদের ছবি ছাপা হয়েছিল সকল দৈনিক পত্রিকায়।
১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মিডলসব্রো ও নিউক্যাসলের মধ্যেকার ফুটবল ম্যাচে ওই কাণ্ড ঘটেয়েছিলেন রাচেল স্যাডলার ও তাঁর বান্ধবী ভেনেসা রিচার্ডস। ঘটনার ২৩ বছর কেটে গেছে। তবে এখনো সেই দিনের অভিজ্ঞতাকে নিজের জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা মনে করেন রাচেল।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমরা তখন মাত্র ১৮-১৯ বছর বয়সী। আমরা চাইছিলাম যেন কোন ভাবে আমাদেরকে নিয়ে আলোচনা হয়। মানুষ চেনে জানে এমন হয়। আমরা প্রচার পেতে চাইছিলাম।
রাচেল স্যাডলার বলেন, আমি তখন মাঠের স্ট্রিপার হিসেবে কাজ করতাম। সেখান থেকেই এই ভাবনা আসে। এমন কিছু করা যায় কি না। যাতে সবাই অবাক হবে, আর আমরাও পরিচিতি পাব। এরপর দুইজন সেটা নিয়ে আলোচনা করি। এবং এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা ভাবি গ্যাসকোইনের (গাজ্জা নামে অধিক পরিচিত ছিলেন) কাছে যাব। ভাবতে ভাবতে একপর্যায়ে ভেনেসা প্রথমে দৌড়ে যায়। আমি কিছুটা দ্বিধায় পড়ি। আবার ভাবলাম এখন যদি না যাই, আর কখনো যেতে পারব না।
তিনি বলেন, আমি তখনই দৌড় দিলাম। মাঠে ঢুকতে গিয়ে বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপরে গিয়ে পড়েছিলাম। মাঠের সব ক্যামেরা তখন ভেনেসার ছবি তুলছে। আর আমাকে দেখা যাচ্ছে পেছন থেকে। পরে দেখি আমার স্পষ্ট কোন ছবি আসেনি।
রাচেল স্যাডলার আরো বলেন, আমরা যখন গাজ্জার দিকে যাচ্ছিলাম তখন সে দৌড় দেয় অন্যদিকে। আর বলছিল দয়া করে আমার সঙ্গে এটা কোরো না। তখনই ভেনেসা লাফিয়ে তার পিঠে পড়ার চেষ্টা করছিল।
রাচেল ও ভেনেসা প্রচার পাওয়ার যে উদ্দেশ্যে কাজটি করেছিলেন, তাতে পুরোপুরি সফল হয়েছিলেন। পরদিন দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় তাঁদের ছবি ছাপা হয়েছিল।
এদিকে ওই ঘটনার পরেরদিন সান স্পোর্ট তাদের পত্রিকার প্রথম পাতায় শিরোনাম করেছিল, ‘অল দ্য ব্রেস্ট গাজ্জা’। ঘটনার কয়েক বছর পরে সেদিনের তার সঙ্গী ভেনেসা রিচার্ডস মারা যান।
বর্তমানে ৪১ বছর বয়স রাচেলের। ওইদিনের কাণ্ড নিয়ে এখনো কোন আক্ষেপ নেই তার। বরং ওই ঘটনাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে সেরা অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।