জুমবাংলা ডেস্ক : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে কাঁকড়া আহরনের সময় বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েও জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন আব্দুল ওয়াজেদ (৪৫) নামের এক জেলে। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৬টায় আব্দুল ওয়াজেদকে নিয়ে শ্যামনগরের লোকালয়ে ফিরেছেন তার ছোটভাই লিয়াকত হোসেন।
এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টায় সুন্দরবনের কাছিকাটা দাঁড়গাঙ নামক এলাকায়।
আহত জেলে আব্দুল ওয়াজেদ শ্যামনগর উপজেলার ছোটভেটখালী গ্রামের মৃত জব্বার আলী গাজীর পুত্র। ঘাড়, পিঠ এবং মাথায় সামান্য জখম হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাকে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কাছে থাকা গরান কাঠের লাঠি নিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার এবং বাঘের চোখে চোখ রেখে ভয় দেখিয়ে বড়ভাই ওয়াজেদকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন বলে দাবি করেন ছোটভাই লিয়াকত হোসেন।
তিনি বলেন, বাঘটি আক্রমণ করার সময় তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে ছিলেন। লাঠি দেখে আর চিৎকার শুনেই বাঘটি তার ভাইকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এরপর আহত অবস্থায় তাকে নৌকায় চড়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
‘ঘটনাস্থলটি সুন্দরবনের গভীরে এবং সেখানে কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না বলে ফিরে আসতে বেশী সময় লেগেছে বলে জানান লিয়াকত হোসেন।
তিনি আরও বলেন, কাঁকড়া ধরা ছাড়াও মধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। সেই কাজেই সুন্দরবনে গিয়েছিলেন তারা।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) একেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, আহত ওই জেলের কোন পাশ পারমিট ছিলো না। কাঁকড়া ধরার সময় বাঘের আক্রমণে সে আহত হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।