ধর্ম ডেস্ক : রমজান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে কিছুক্ষণ আগেই। আজ রাতে প্রথম সেহরি। তাই রোজদারদের মধ্যে এখন প্রস্তুতির হিড়িক। সেহরির শেষ সময় কখন, কী খাবেন সেহরিতে, সময় মিলিয়ে রাতের খাবার খাবেন কখন, কী ধরনের খাবার দিয়ে সেহরি করলে সারাদিন রোজা থাকতে পারবেন সুস্থভাবে? এমন বেশ কিছু চিন্তা নিশ্চয় ঘুরছে আপনার মাথাতেও।
আজ রাতে সেহরির শেষ সময় ৫টা ৪ মিনিট, এবং ইফতার ৬টা ২ মিনিটে। অর্থাৎ আগামীকাল রোজাদার ব্যক্তিরা প্রায় ১৩ ঘণ্টা সব ধরণের পানাহার থেকে সংযত থাকবেন। সাধারণত যেকোনো রোজাদার ব্যক্তির জন্যই প্রথম রোজটি তুলনামূলক কঠিন হয়। কারণ সারা বছর আপনার শরীর একটি নির্দিষ্ট সময়সূচিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, অভ্যাস অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ক্ষুধা লাগাটাও প্রাকৃতিক। সেই অভ্যাস ভেঙে নতুন রুটিনে নিজের শরীরকে অভ্যস্ত করতে কয়েকদিন সময় তো লাগবেই। এই সবকিছু মাথায় রেখে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজ রাতের পরিকল্পনা করবেন কীভাবে –
১. রাতের খাবার দ্রুত সেরে ফেলুন। যেহেতু সেহরিতে খেতে হবে ৫টার মধ্যেই, তাই রাতের খাবার আর সেহরির মধ্যে সময়ের পার্থক্য বাড়ানো জরুরি। এতে সেহরিতে আপনার খাবার রুচি আসবে এবং ভরপেটে দিন শুরু করতে পারবেন।
২. এখন থেকেই অল্প অল্প করে পানি পান করুন। একসঙ্গে অনেক পানি খেয়ে ফেললে শরীর তা কাজে লাগাতে পারেনা। বরং এতে বারবার ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু অল্প অল্প করে পানি পান করলে আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে বেশিক্ষণ।
৩. সেহরির খাবারের অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। অনেকেই সেহরিতে গরম গরম ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ভোর বেলা উঠে পরিবারের সবার জন্য খাবার রান্না করা অনেকসময়ই কষ্টকর হতে পারে। তাছাড়া এতে রাতে বিশ্রামের সময়ও কমে যায়। আবার কোন কারণে উঠতে দেরি হয়ে গেলে ঝামেলাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই ভাতের আনুসঙ্গিক খাবারগুলোর ব্যবস্থা রাতে ঘুমানোর আগেই করে রাখতে পারেন। অবশ্যই হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এভাবে পরিকল্পনা করলে সেহরির আগে ২০-৩০ মিনিট সময় নিয়ে ঘুম থেকে উঠলেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে গরম ভাত দিয়ে সেহরি করতে পারবেন।
৪. হাতে সময় রেখে সেহরির জন্য এলার্ম সেট করুন। একদম শেষ সময়ে উঠার পরিকল্পনা না করে একটু আগে উঠুন, এতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে তাড়াহুড়োতে পড়বেন না। তাছাড়া একজন ব্যক্তির ওপর সবার খাবার প্রস্তুত করার ভার না দিয়ে পরিবারের সবাইকে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন।
৫. আজ রাতে একটু দ্রুত বিছানায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ব্যক্তি ভেদে ঘুমের চক্র মানুষের এক থেকে দেড় ঘণ্টার হয়ে থাকে। এমন সময়ে বিছানার যাওয়ার পরিকল্পনা করুন যেন ঘুমের কয়েকটি চক্র পূরণ হয়। এছাড়া ঘুম পূরণ না হওয়ার কারণে সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করার সম্ভাবনা থাকে।
৬. ওষুধপত্রের নতুন সময় নির্ধারণ করে নিন। যদি আপনার নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবন করতে হয় বা অন্য কোনো শারিরীক সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে রোজার সময়সূচির সঙ্গে মিলিয়ে কোন ওষুধ কখন খাবেন তা নিশ্চিত হয়ে নিন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
‘ফ্রি এন্ড ফেয়ার’ নির্বাচন যাতে হয় সে ব্যাপারে কাজ করছে সরকার: প্রেস সচিব
মুসলমান জাতির জন্য রমজান মাস যেমন ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে পারিবারিক হৃদ্যতা বাড়ানোর জন্যেও এটি একটি আদর্শ সময়। একই সঙ্গে পরিবারের সবাই সেহরি ও ইফতারের আয়োজন করার মধ্য দিয়ে গৃহস্থালীর দায়িত্বগুলোর প্রতি সবার সচেতন হওয়ার আদর্শ সুযোগ এই রমজান মাস। তাই সবাইকে নিয়ে পরিকল্পনা করুন এই রমজানে কীভাবে সাজাবেন আপনার পরিবারের দিনগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।