লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানব দেহের এক অন্যতম অঙ্গ হলো হার্ট বা হৃদযন্ত্র। আর অনিয়মিত জীবন যাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এ কারণে ভুগতে হয় হৃদরোগে।
দেহের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ রক্তকে পাম্প করে। হৃৎপিণ্ড রক্তকে পাম্প করে বলেই শরীরের প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায় রক্ত। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বিশ্রাম থাকলেও হার্টের কোনো অবসর নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ক্রমাগত এই অঙ্গ কাজ করে চলে।
তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি মানুষেরই উচিত হার্টের যত্ন নেওয়া। আমরা যখন বেশি পরিশ্রম করি তখন হার্ট দ্রুত পাম্প করে। কারণ এ সময় শরীরে বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
অন্যদিকে কম পরিশ্রম হলে বা বিশ্রামে থাকলে হার্ট কম অক্সিজেন পাম্প করে। কারণ শরীরে তখন অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না।
তবে হার্টের এই পাম্প করার বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি কখনো টের পান বিশ্রামে থাকা স্বত্ত্বেও আপনার হার্ট দ্রুত পাম্প করছে বা হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে তাহলে সাবধান থাকুন। এ সমস্যা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের দিকে ইঙ্গিত করে।
এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা প্রথমে রোগীর বুকে বা পিঠে যন্ত্র রেখে হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন। কারণ হার্ট রেটের বিভিন্ন ধরন শরীর সম্পর্কে নানা বিষয় জানান দেয়। বিশ্রাম নেওয়ার সময় হৃদস্পন্দন কম হয়। এ কারণে একে রেস্টিং হার্ট রেট বা বিশ্রামকৃত হৃদস্পন্দন বলে।
চিকিৎসকদের মতে, এই রেস্টিং হার্ট রেট থেকেই শরীর ও হার্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়। মানুষের স্বাভাবিক রেস্টিং হার্ট রেট হলো প্রতি মিনিটে ৬০-১০০।
রেস্টিং হার্ট রেট ৬০ এর নীচে থাকলে ওই ব্যক্তিকে সুস্থ বলে ধরা হয়। ৫০ এর দিকে হার্ট রেট হলেও আপনাকে সচেতন হতে হবে।
তবে ১০০ এর বেশি রেস্টিং হার্ট রেট হলে ধরে নিতে হবে ওই ব্য়ক্তি অসুস্থ। এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে অত্যধিক কফি খেলেও হতে পারে এই সমস্যা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ৫০ এর নীচে হার্ট রেট চলে যাওয়া ও মাথা ব্যথা থাকলে বুঝতে হবে হার্টের ইলেকট্রিক প্যাথওয়েতে সমস্য়া দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রেস্টিং হার্ট রেট ১০০ বা তার বেশি হলে শরীরে কোনো ইনফেকশন বা অ্যারিদমিয়ার মতো হার্টের রোগের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। পুরুষের শরীরে এই রেস্টিং হার্ট রেট বেশি থাকলে মৃত্যুঝুঁকি থাকে বেশি। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
হার্ট যখন নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় স্পন্দিত হয়, তখন তাকে অ্যারোবিক ক্যাপাসিটি বলা হয়। সাধারণত যারা খেলাধুলা করেন বা ভারী কাজকর্ম ও শরীরচর্চা করেন তাদের এমন অ্যারোবিক ক্যাপাসিট থাকে।
হার্টের অ্যারোবিক ক্যাপাসিটি থাকা ভালো। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কোনো হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্যদের চেয়ে অনেক কম থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।