জুমবাংলা ডেস্ক : নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘রাজনীতির সব পদ কচু পাতার পানির মতো। বাতাস যে কোনো সময় যে কোনো দিক দিয়ে আসতে পারে এবং তা পড়ে যেতে পারে। যতটুকু সময় আমরা থাকি, ততটুকু সময় আমরা চেষ্টা করি মানুষের কল্যাণে ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে। আর এসব করি বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ কোথায় চলে গেছে- তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আপনাদের নিশ্চয়ই ভালো লাগে দেশ সম্পর্কে একটি পজিটিভ রিপোর্ট করতে।’
বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুমবাংলার যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের সবকিছুতে দায় আছে। আপনারা যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন তারা আমার থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বেশি চেনেন। যারা সাংবাদিকতায় কাজ করছেন তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যার ফলে এই সেক্টরটা অনেক বড় হয়েছে। আমরা যে প্রেস ক্লাবে বসে কথা বলছি এটার জন্য তিনি অনেক বড় পরিসরে পরিকল্পনা নিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৬ জন ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় জুমবাংলা যুগপূর্তি সম্মাননা-২০২২।মন্ত্রী গুণীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, শিক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, কথাসাহিত্যে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, চিত্রশিল্পে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও কয়েনের নকশাকার কেজি মুসতফা, চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সমাজসেবায় খুলনা অঞ্চল সমাজসেবায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান অনির্বাণ লাইব্রেরি, সাংবাদিকতায় যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসীনুল হাকিম, ফটোগ্রাফিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার পাভেল রহমান, আবৃত্তিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম, কবিতায় কবি ও সাংবাদিক খান মুহাম্মদ রুমেল, ছড়াতে ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক পাশা মোস্তফা কামাল, গীতিকারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী, সঙ্গীতে গায়ক-সুরকার ও সঙ্গীত গবেষক সাজেদ ফাতেমী, কৃষিতে বরেন্দ্র ও রূপগ্রাম কৃষি খামারের উদ্যোক্তা সোহেল রানা, জনসচেতনায় বস্ত্র প্রকৌশলী সাঈদ রিমন, নারী উদ্যোক্তায় উই’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং আইটিতে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুমবাংলার সম্পাদক হাসান মেজর। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।