স্পোর্টস ডেস্ক : তুরস্কের শীর্ষ পর্যায়ের লিগ ফুটবলে রেফারির সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণের ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারি হালিল উমুত মেলের’কে ঘুসি মেরেছেন আঙ্কারাগুচুর প্রেসিডেন্ট ফারুক কোকা। রেফারি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ক্লাব প্রেসিডেন্টসহ অন্যরা তাকে লাথিও মারেন। আঙ্কারাগুচু ও রেজিসপোর ম্যাচে ঘটেছে এই ঘটনা। ম্যাচের শেষ বাঁশির ঠিক আগে গোল খাওয়ায় অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন দেশটির ফুটবলার ও ভক্তরা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে স্বাগতিক আঙ্কারাগুচু ১-০ গোলের লিড নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটে লাল কার্ডের খড়গে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। ম্যাচের ৯৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন প্রতিপক্ষ রেজিসপোর ফুটবলার। তারপরও দুই মিনিট পরে তারা গোল দিয়ে দেয়। ম্যাচের ৯৭ মিনিটে খেলা ১-১ গোলের সমতা হতেই মাঠে ঢুকে পড়েন আঙ্কারাগুচুর প্রেসিডেন্ট কোকাসহ অন্যরা।
ঘটনার পরপরই ম্যাচটি স্থগিত করে দেয় তুর্কির লিগ কর্তৃপক্ষ। পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য তুরস্কের সব ধরনের ফুটবল স্থগিত করেছে তুর্কির সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে অমানবিক ও ঘৃণ্য এই আচরণের নিন্দা জানিয়েছে এবং রেফারি হালিল মেলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে, ‘আমরা হালিল উমুত মেলের শারীরিক অবস্থা খুব যত্নসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি, আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
দায়ী ক্লাব, প্রেসিডেন্ট ও কোচকে বাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টির জন্য শাস্তি দেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই অমানবিক ও জঘন্য আচরণ তুর্কি ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আঘাত করেছে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট, ম্যানেজার, টিভি ধারাভাষ্যকাররা রেফারিং নিয়ে আগ্রাসী মন্তব্য করায় আজ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ক্লাব, কোচ, প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে ফিফা। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘মাঠ হোক কিংবা মাঠের বাইরে, ফুটবলে সহিংসতার কোন সুযোগ নেই। তুর্কির ফুটবলে যা ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য। এই ঘটনায় দেশটির ফুটবল সংশ্লিষ্টদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।