লাইফস্টাইল ডেস্ক : কদিন ধরে বিকাল হলেই আকাশে মেঘ জমছে। বৃষ্টি আসছে খুব হালকা। এক পশলা বৃষ্টির ফলে প্রকৃতি হচ্ছে ঠাণ্ডা। কিন্তু সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কফের সমস্যা। বুকে কোনো কারণে জমে যাচ্ছে কফ। শিশু, বৃদ্ধ এমনকি তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা হয়। কারণ হুট করে আবহাওয়া ঠাণ্ডা ও ভেজা হয়ে উঠলে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ সময় ঠাণ্ডার ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এসব ওষুধে ঘুম আসা সহ নার্ভের অনেক সমস্যা হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলেন ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে। চলুন জেনে নেই:
ভাপ নিন
কফের সমস্যা হলে ভাপ নেওয়া একটি ভালো পদ্ধতি। বুকের ভেতর শ্লেষ্মা আলগা করার জন্য ইনহেলার না নিয়ে পানি গরম করে ভাপ নেয়াই ভালো। পাত্রে পানি ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন এবং পাত্রের ওপর ঝুঁকে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। ভাপ নিলে বুকে শুকনো কফটা সরে যেতে পারে। আরাম লাগে যখন। খুসখুসে ভাব থাকে না। ভালো ফলাফল পেতে হলে পানিতে ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের মতো এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন।
হলুদের দুধ
হলুদ সবসময়ই প্রদাহ বিরোধী। তাই শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে এটি সাহায্য করে। হলুদে থাকা অ্যান্টিসেপটিক সর্দি ও কাশি সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে হলুদ তো সরাসরি খাওয়া যায় না। এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে হলুদ দুধ তৈরি করা যায়। স্বাদের জন্য মধু দিতে পারেন। তবে হলুদ দুধ খাবেন গলায় ব্যথা কমাতে। অথবা আপনার যদি প্রচুর কাশি হয় কফ জমে থাকায় তখন এটি খেতে পারেন। নাহলে ভাপ দিলেই কাজ হবে।
আদা চা
আদাও প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। সর্দি-কাশি হলে আদা সবাই ব্যবহার করে। আদা অনেকে কেটে চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। তবে সবচেয়ে কার্যকর হয় আদা চা তৈরি করলে। আদার খোসা ছাড়িয়ে পানিতে ৫-১০ মিনিট ফুটোনোর পর মধু ও লেবু যোগ করুন। অনেকে চিনি মেশান। এমনটা না করাই ভালো। আবার চিনি ছাড়াও এই চা খেতে বিস্বাদ ও তিতকুটে লাগতে পারে। তাই মধু ও লেবু যোগ করা।
সূত্র: হেলথইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।