জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের পকেট কমিটি বাতিল করে তৃণমূল ও কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটির গঠনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলা যুবদল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় গঠিত উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়কসহ ৭ জন ও পৌরসভা যুবদলের ৫ জনসহ মোট ১২ জন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগ কারীরা হলেন- উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কলিমুল্লাহ, সেলিম জাহাঙ্গীর মিন্টু, কাজী জসিম উদ্দিন, আলাউদ্দিন আল মাহমুদ কিরন, সদস্য হাবিবুল হক হাবিব, নেছার উদ্দিন বাবুল, শাহিন মজুমদার, পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দীন পিন্টু, সদস্য এয়াকুব আলী, মাহবুবুল আলম হিরন, মোবারক খান, শাহাদাত হোসেন। তারা সবাই সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পদত্যাগী যুগ্ম আহ্বায়ক কলিম উল্লাহ চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ত্যাগী ও কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এবং গঠনতন্ত্রের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ২০২৩ সালের ২২মে উপজেলা যুবদলের একটি পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে তারা আজ পর্যন্ত কোনো ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও এলাকায় যুবদলের কোনো অনুষ্ঠান করতে পারেনি। সম্মেলন ব্যতিত ঘরে বসে প্যাড সর্বস্ব অত্র উপজেলার কিছু ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাই এ কমিটি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা এস এম নাছির উদ্দিন, আলাউদ্দিন মাহমুদ, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আশ্রাফুল আলম উজ্জ্বল, সেলিম জাহাঙ্গীর মন্টু, তারিকুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, নিজাম উদ্দিন, কাজী কামরুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও জাকের হোসেন মিয়াজী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা, তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং মাঠ পর্যায়ের জনপ্রিয়তা যাচাই করে ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে উপজেলা যুবদলের কমিটি দেওয়ার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, যাকে যেখানে রাখার প্রয়োজন জেলা নেতৃবৃন্দ তাকে সেখানে রেখে এক বছর আগে একটি কমিটি গঠন করেন। গত এক বছর ধরে আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পোগ্রাম নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করি। কিন্তু রাতা কেউই আমাদের সঙ্গে আসে না। আমরা নিয়মিত পোগ্রাম করছি। এখন যদি কেউ পদত্যাগ করে তাহলেত আমাদের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু বলেন, অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে কেন্দ্রীয় কমিটি সারাদেশে ইউনিয়ন কমিটিগুলো দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার যুবদল কমিটি জেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল প্রোগ্রামগুলো সক্রিয়ভাবে পালন করছেন। এটা যদি পকেট কমিটি হয়, এতদিন কেন তারা অভিযোগ দিল না? আজকে দলীয় কোন্দলতার কারণে এই সব হচ্ছে। তারপরও কমিটির বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।