লাইফস্টাইল ডেস্ক : রমজানে সুস্থ থাকতে সবাইকেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে চলা উচিত। বিশেষ করে হৃদরোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা হৃদরোগে ভুগছেন তারা ইফতার ও সেহরিতে কিছু খাবার পরিহার করে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারেন।
‘
নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো সেহরি এবং ইফতারে এড়িয়ে চলবেন-
ভাজা-পোড়া খাবার
ইফতার বা সেহরিতে ভাজা-পোড়া খাবার, যেমন পেঁয়াজু, সমুচা, পুরি ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে এবং বদহজমের কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
লবণ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যা হৃদরোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার, যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার, আচার ইত্যাদি পরিহার করা উচিত।
উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার
সম্পৃক্ত চর্বি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল মাংস, মাখন, ঘি ইত্যাদি কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এসব খাবার আপনি আপনার সেহরি, ইফতার এমনকি রোজার মাসে এড়িয়ে চলুন।
ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার
ঝাল ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে, যা হৃদরোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়সেহরিতে চা বা কফি বেশি পরিমাণে পান করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও উচ্চ মাত্রার লবণ থাকতে পারে, যা হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর।
একটি দল পালিয়েও দেশকে অস্থিতিশীল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে : প্রধান উপদেষ্টা
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রমজান মাসে এই বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া আবশ্যক। হৃদরোগীরা রমজানে সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন। যেমন-ইফতার ও সেহরিতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, যাতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত পানি পান এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত হালকা শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।