জুমবাংলা ডেস্ক : নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমূখী হলেও ঝাঁজ ছড়ায়নি পেঁয়াজ। কিন্তু দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় উঠেছে। এখন খুচরা দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৫০ টাকা লাগছে ভোক্তাদের। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাইকারি শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। এদিকে বন্যার কারণে সবজির দামও বেড়েছে বাজারে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকের লাভের কথা চিন্তা করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন সরকার। তবে এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ থাকার পরও কোনো কারণ ছাড়াই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেজিতে ১০ টাকা বাড়ি দিয়েছে। সরকারকে এখনি ভ্রাম্যমান অভিযানের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে, তা না হলে সামনে ব্যবসায়ীরা আরো সুযোগ নিতে পারে।
বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ বাজার করতে আসা ক্রেতারা। সিরাজুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারের অন্যান্য জিনিসের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম ছিল, কম থাকার বিষয়টি খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মেনে নিতে পারছিলো না। তাই তারা সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়েছে। ’
জানতে চাইলে পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মাজেদ বলেন, ‘পাইকারি বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুইদিন আগে মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলাম ৩০-৩৫ টাকা, সেটি এখন ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। ’
কারওয়ান বাজারের খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলিম শেখ বলেন, ‘দুই দিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। আজ পেঁয়াজ পাইকারি ৪৪ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। খুচরা বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি। গত দুইদিন আগেও পেঁয়াজ পাইকারি ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং খুচরায় বিক্রি করেছি ৪০টাকা কেজি। ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।