বিনোদন ডেস্ক : ছিপছিপে দেহ থেকে হঠাৎ মোটা হয়ে যাওয়ায় কম কথা শুনতে হয়নি টলিউড নায়িকা ঋতাভরীকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ট্রোলড করা হয়েছিল। অল্প সময়ে তিনি কী করে মোটা হয়েছিলেন? তা জানতে চেয়েছেন অনেকেই। ভক্তদের নিরাশ না করে মোটা হওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। জানিয়েছেন কেন তিনি মোটা হয়েছেন।
ঋতাভরী বলেন, আমার চেহারার ধরনই রোগা। এক বছরে দুইটি অস্ত্রোপচারের ফলে চেহারায় একটু পরিবর্তন এসেছিল। চিকিৎসক বলেছিলেন ডায়েট বা শরীরচর্চায় নজর না দিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে। আমারও মনে হয়েছিল, আগে জরুরি সুস্থতা। তাই বেশি বেশি খাবার খেয়ে ওজন বাড়িয়েছি।
তবে ঋতাভরীর ওজন বাড়ানোর মূল কাহিনি কিন্তু চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই। চরিত্রের প্রয়োজনেই তিনি মোটা হয়েছেন। নিজের মুখেই সরল স্বীকারোক্তি তার। বলেন, ‘সুস্থ হওয়ার পর ধীরে ধীরে ওজন ঝরাচ্ছিলাম। দুর্গাপূজার পরেপরই উইন্ডোজের পক্ষ থেকে ‘ফাটাফাটি’ ছবির অফার পেলাম। রাজি থাকলেও করোনার কারণে শ্যুটিং পিছিয়ে গিয়েছিল। এপ্রিল থেকে শ্যুটিং শুরু হবে। আমায় চিত্রনাট্যের জন্য ওজন বাড়াতে হচ্ছে এখন।’
তবে তন্বী ঋতাভরীর ডায়েটে নজর ছিল সবারই। কিন্তু ওজন বাড়াতে কী ডায়েট মেনে চলছেন নায়িকা?
অভিনেত্রী বলেন, ‘ক্লাস ১১-১২ থেকে আমি ভাত, চিনি ছেড়ে দিয়েছি। যে যে খাবারে মোটা হয়, কিছুই খেতাম না। ভালো ও লাগত না। এখন আমি দুইবেলাই ভাত খাচ্ছি। কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস নেই। সেটাও খাচ্ছি মাঝে মধ্যে। নিজেরই অবিশ্বাস্য লাগে মাঝে মাঝে।’
ঋতাভরীর ভাষ্য, ‘ওয়ার্ক আউট করতে খুব ভালোবাসি আমি। রোজ অন্তত ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করতাম। এখন সেটা কমিয়ে ১৫ মিনিট করছি মাত্র। খাবার পরে রোজ একটু করে হলেও মিষ্টি খাচ্ছি। তবে শরীরচর্চা একেবারে ছেড়ে দেইনি। কারণ শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরে ওজন কমাতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ব। প্রথমদিকে শুধু হাঁটছিলাম। এখন অল্পসময় হলেও ট্রেডমিলে শরীরচর্চা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।